1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
মনপুরায় জেলেদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি: যুবদলের সাবেক নেতা গ্রেপ্তার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন নুরুল হক নুর হেফাজত আমিরের আহ্বান: আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন না নাফ নদে আরাকান আর্মির অপহরণ-চক্র: ২৩ দিনে ৬৯ জেলে, প্রশ্ন উঠছে ‘কঠোর বার্তা’র রাজশাহীতে উদ্বোধন হলো ৩০তম আন্তর্জাতিক জুনিয়র টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫ পটুয়াখালীতে কিশোর গ্যাং চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার, অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগ রাঙ্গাবালীর সোনারচরে ফিশিং ট্রলার ডুবি, ১৪ মাঝিমাল্লা জীবিত উদ্ধার ছুটির চতুর্থ দিনেও কুয়াকাটায় পর্যটক-উচ্ছাস, শতভাগ হোটেল বুকিং তরমুজবাহী ট্রলার ডাকাতি মামলার ‘প্রধান সরদার’ কামাল গ্রেফতার তালতলী বন্দরে র‍্যাবের অভিযান: দুর্ধর্ষ ডাকাত সরদার নুর মোহাম্মদ গ্রেফতার

বোরো ধান গোয়ালে তুলতে কিষান-কিষানীরা ব্যস্ত

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

 

সেই অন্ধকার গুছিয়ে আলোর দেখা মিললেই আবার অন্ধকার অবধি কিষান-কিষানির অবসরের সময় নেই। একদিকে ধান কাটা, অন্যদিকে চলছে ধান মাড়াই। একইসাথে চলে ধান সেদ্ধ ও শুকানো। এ ধরনের কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌলভীবাজারে হাওর পাড়ের কিষান-কিষানিরা।

সম্প্রতি জেলার কাউয়াদীঘি হাওরপারের বানেশ্রী, রায়পুর, জুমাপুর, কাদিপুর এলাকার যেদিকেই চোখ পড়েছে – সেদিকেই দেখা যায়, বোরো ফসল তোলার মহোৎসব চলছে। সেই সাথে সেদ্ধ ধানের মন কারানো বইছে সেদ্ধ ধানের গন্ধ।

স্থানীয়রা জানান, এখন হাওরের বুকে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী ধান মাড়াইয়ের খলা তৈরি করা হয়েছে। চাষিরা খেত থেকে ধান কেটে যার যার নির্দিষ্ট খলায় নিয়ে আসেন। এখানেই চলে মাড়াই, সিদ্ধ, শুকানো ও চাল তৈরি। পরে বাড়ি-ঘরে সেই চাল নিয়ে যাওয়া হয়।

উপজেলার কাদিপুর এলাকায় এ ধরনের একটি ধান মাড়াইয়ের খলায় গিয়ে দেখা যায়, ধান সেদ্ধ করতে ব্যস্ত চল্লিশোর্ধ্ব কিষানি সুমতী দাশ। তিনি বড় তিনটি পাতিলে ধান সাজিয়ে রেখেছেন। পরিমাপ মতো পানি ঢালছেন ধান ভেজানোর জন্য, একটু পর সেই ধানগুলো সেদ্ধ করা হবে।

কথাপ্রসঙ্গে তিনি জানান, এক সময় মা-দাদিরা বড় বড় মাটির হাঁড়িতে ধান সেদ্ধ করতেন। এখন সিলভার পাতিলে ধান সেদ্ধ করেন লোহার দিয়ে তৈরি অস্থায়ী চুলায়। বিকেলে লোহার দণ্ড দিয়ে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয় অস্থায়ী চুলা। জ্বালানি হিসেবে খড় ব্যবহার করা হয়। এক একটি পাতিলে ৪০ থেকে ৪২ কেজি ধান সেদ্ধ করা যায়। একটি পাতিলে ধান সেদ্ধ করতে সময় যায় ঘণ্টাখানেক।

তিনি বলেন, ধান সেদ্ধ দেওয়ার পর মাটিতে বিছানো ত্রিপাল ও বাঁশের চাঁটি কিংবা বিশেষ ধরনের তৈরি মাটির ‘খলা’য় ওই সেদ্ধ ধান শুকানো হয়। ধান শুকাতে রৌদ্রের তাপ অনুযায়ী ২/৩ দিন লেগে যায়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলে ধান শুকাতে সমস্যা হয়। রোদ যত বেশি ধানের জন্য তত ভালো।

কাদিপুর গ্রামের আরেক কিষানি বলেন, এমনিতেই আমাদের সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয়। বাড়ির পুরুষেরা ভোরে চলে আসেন ফসলের মাঠে। আর আমরা নারীরা দুপুরে ঘরের রান্নাবান্নার কাজ শেষে ধান শুকানো, খড় শুকানো ও ধান সেদ্ধ করে থাকি। এসব শেষ করতে করতে অনেক সময় রাত হয়ে যায়। পরের দিন সকাল থেকে আবার একইভাবে কাজ শুরু করি।

তিনি বলেন, সেদ্ধ ধান থেকে যখন চাল তৈরি হয়, তখন সারাদিনের কষ্ট ভুলে আনন্দে মন-প্রাণ ভরে উঠে।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিষান-কিষানিরা ব্যস্ত সময় কাটালেও তাদের চোঁখে-মুখে নেই কোনো হতাশার ছাপ। হতাশার ছাপ থাকবে বা কেন? এই ব্যস্ততা যে তাদের আগামীর স্বপ্ন। ফসল ভালো হলে কৃষকের মুখে হাঁসি ফোঁটে আর সেই ফসল যদি ভালোভাবে ঘরে তুলতে পারেন, তবেই স্বার্থকতা। কষ্ট লাগবে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাই ভড়া মৌসুমে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট