1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতার নতুন অধ্যায় পাকিস্তানে জিজেইউএস প্রতিনিধি দলের সফর ভোলায় বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা ভোলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৬টি হাতবোমা ও ৫টি দেশীয় অস্ত্রসহ আটক -১ চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপে অর্থনীতি ও পর্যটনে নতুন দিগন্ত এমপিও নামক সোনার হরিন কি আদৌ মিলবে? ভোলায় বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অস্ত্রসহ কথিত এক ভূয়া সমন্বয়ক গ্রেফতার ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত। ভোলায় মা ও শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন জলঢাকায় প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ওস্মারক লিপি প্রদান ও অবস্থান কর্মসূচি

ভোলায় ডালের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

মো: সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

চলতি রবি মৌসুমে ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মুগ ও ফেলন ডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া ছিল অনুকূলে, পোকার আক্রমণ ছিল না বললেই চলে। ফলে কৃষকরা খুব বেশি কোনো সমস্যায় না পড়েই ভালো ফলন পেয়েছেন। মাঠে এখন চলছে ডাল তোলা, শুকানো ও বীজ সংরক্ষণের ব্যস্ততা।

ডাল চাষে কৃষকদের পাশে রয়েছে শুধু সরকারি কৃষি বিভাগই নয়, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর কৃষি ইউনিটের সহযোগিতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজিইউএস)–ও মাঠ পর্যায়ে প্রদর্শনী প্লট ও পরামর্শ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর ফলে অনেক কৃষক আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছেন।

জিজিইউএস-এর কৃষি ইউনিটের টেকনিক্যাল অফিসার কৃষিবিদ মুরাদ হাসান চৌধুরী বলেন, “আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ, ফসল ব্যবস্থাপনা এবং রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষকরা প্রযুক্তিনির্ভর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন, ফলে ফলন ভালো হচ্ছে।”

দৌলতখান উপজেলার কৃষক রাসেল বলেন, “এবার ডালের ফলন ভালো হয়েছে। যদি বাজারে ভালো দাম পাই, তাহলে আগামী বছরও এই চাষ চালিয়ে যাব।”
একই এলাকার শেখ ফরিদ জানান, “আগে ছোট জাতের ডাল করতাম, লাভ হত না। এবার অফিস থেকে বড় জাতের ডাল পেয়েছি। চাষ করে লাভবান হয়েছি, সেই বীজ রেখে দিয়েছি, আগামী বছরও এটা দিয়েই চাষ করব।”

কৃষাণী আসিয়া বেগম বলেন, “এ বছর ডাল ভালো হয়েছে। তুলে শুকিয়ে সংরক্ষণ করছি। আগামী বছর এই বীজ দিয়েই আবার চাষ করব।”
বিলকিস বেগম বলেন, “নিজের জমিতে ডাল তুললে সবটা নিজেই পাই। আর অন্যের জমিতে কাজ করলে ১০ ভাগে এক ভাগ বা কখনো ১২ ভাগে এক ভাগ ডাল পাই।”

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ খায়রুল ইসলাম মল্লিক জানান, “এই মৌসুমে জেলায় ২৮,৬৫৫ হেক্টর জমিতে ডাল চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ জমিতে জনপ্রিয় বারি মুগ-৬ জাত চাষ হয়েছে। কিছু জায়গায় বিনা মুগ-৮ ও বারি মুগ-৭-এর চাষও হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, গড়ে প্রতি হেক্টরে ১.৪ মেট্রিক টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যেতে পারে। সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে, তবে সেটা যদি আরেকটু আগে হতো তাহলে ফলন আরও ভালো হতো বলে মনে করেন তিনি।
“মাঠ পরিদর্শনে দেখা গেছে, অধিকাংশ কৃষক দুই থেকে তিনবার পর্যন্ত ফসল তুলেছেন। বাজারে এখন প্রতি কেজি মুগ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০৫ টাকা পর্যন্ত। কৃষকের লাভজনক হয়েছে এই চাষ,” বলেন উপপরিচালক।

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই আগামীতে ভোলায় ডাল চাষ ৩০ হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে যাক। কৃষক যেন ন্যায্য দাম পায়, সেজন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সঙ্গে কাজ করে মার্কেট লিংকেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট