বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আজ এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গভর্নর এবং ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। এই ঘটনা দেশের আর্থিক খাতে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর দেশ থেকে বড় আকারে অর্থপাচারের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, সাংবাদিকরা অর্থপাচার রোধে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক একটি সংবাদ সম্মেলনে জানান, “গভর্নর, ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগের দাবি করা হয়েছে। এটা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, সরকারের কাছেই তারা পদত্যাগ করবেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এই দাবি জানানো হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের অপারেশনাল কাজ স্বাভাবিকভাবে চলছে। পরিচালক পর্যায়ে দৈনন্দিন কাজ চলমান রয়েছে, আর নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য ডেপুটি গভর্নরদের প্রয়োজন হয়।”
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষের কারণ হিসেবে বেতন স্কেল, অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, গত দুই দিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অফিসে আসেননি। এই পরিস্থিতিতে ডেপুটি গভর্নররা তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন বলে মেজবাউল হক জানিয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশের আর্থিক খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়ে এসেছে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সংকট দ্রুত সমাধান না হলে দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগ পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
আগামী দিনগুলোতে এই বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী কর্মপন্থা সবার নজরে থাকবে।