1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
কৃষকরা মাঠে ধান ফলানোর দৃশ্য মনে করিয়ে দেয় “বাংলাদেশ আমাদের সোনার বাংলাদেশ মন্দিরের দড়জা ভেঙে স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি মৌলভীবাজারে সীমান্তে আরও ১২ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ স্পেসএক্স রকেটে অক্সিজেন লিক, এক্সিওম মিশন ৪ উৎক্ষেপণ স্থগিত করল NASA একতরফা শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের, বাড়ছে বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস: ২০২৫ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে ২.৩%, ঝুঁকিতে উন্নয়নশীল দেশসমূহ পটুয়াখালীতে নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে জলঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল ঈদের ছুটিতেও মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রসূতির সেবা ॥ ৬টি স্বাভাবিক প্রসব মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা, মার্কিন কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ বন্যায় প্রাণহানি ৭৮, ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার তৎপরতা চলছে

কুরবানির ইতিহাস ও ফজিলত

ইশতিয়াক আহমেদ
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ জুন, ২০২৪
  • ২০৩ বার পড়া হয়েছে

সৃষ্টিকর্তা একমাত্র মানব জাতিকে তার ইবাদাতের উদ্দেশ্য সৃষ্টি করছেন। তিনি কোন কোন ইবাদাতকে করেছেন ফরয,আবার কোনটিতে করেছেন ওয়াজিব। কুরবানি সে ধরনের একটি ইবাদত ।কোরবানি শব্দের অর্থ, ত্যাগ, উৎসর্গ, বিসর্জন। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশ্য আত্মোৎসর্গ করাই কোরবানি। শরিয়তের পরিভাষায় মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্য, নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট ব্যক্তির পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পশু জবেহ করাকে কোরবানি বলা হয়।

কুরবানির ইতিহাস :
১।কুরবানীর ইতিহাস খুবই প্রাচীন। সেই আদি পিতা আদম (আ.) এর যুগ থেকেই কুরবানীর বিধান চলে আসছে। আদম (আ.) এর দুই ছেলে হাবীল ও কাবীলের কুরবানি পেশ করার কথা আমরা মহাগ্রন্থ আল-কুরআন থেকে জানতে পারি।

হাওয়া (আ.) এর প্রতি গর্ভ থেকে জোড়া জোড়া (জময) অর্থাৎ একসাথে একটি পুত্র ও একটি কন্যা এরূপ জময সন্তান জন্মগ্রহণ করত। কেবল শীস (আ.) ব্যতিরেকে। কারণ, তিনি একা ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন। তখন ভাই-বোন ছাড়া আদম (আ.) এর আর কোন সন্তান ছিল না। অথচ ভাই-বোন পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে না। তাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা উপস্থিত প্রয়োজনের খাতিরে আদম (আ.) এর শরীয়তে বিশেষভাবে এ নির্দেশ জারি করেন যে, একই গর্ভ থেকে যে যমজ পুত্র ও কন্যা জন্মগ্রহণ করবে, তারা পরস্পর সহোদর ভাই-বোন হিসেবে গণ্য হবে। তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম। কিন্তু পরবর্তী গর্ভ থেকে জন্মগ্রহনকারী পুত্রের জন্য প্রথম গর্ভ থেকে জন্মগ্রহণকারীনি কন্যা সহোদরা বোন হিসেবে গণ্য হবে না। তাদের মধ্যে পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ। সুতরাং সে সময় আদম (আ.) একটি জোড়ার মেয়ের সাথে অন্য জোড়ার ছেলের বিয়ে দিতেন। ঘটনাক্রমে কাবীলের সাথে যে সহোদরা জন্ম নিয়েছিল সে ছিল পরমা সুন্দরী। কিন্তু হাবিলের সাথে যে সহোদরা জন্ম নিয়েছিল সে দেখতে অতটা সুন্দরী ছিল না। সে ছিল কুশ্রী ও কদাকার। বিবাহের সময় হলে শরয়ী ‘নিয়মানুযায়ী হাবীলের সহোদরা কুশ্রী বোন কাবীলের ভাগে পড়ল। হযরত আদম (আ.) তার সন্তান হাবিল-কাবিলের মধ্যে বিবাহ নিয়ে এ দ্বন্দ্ব দেখা দিলে তাদের দ্বন্দ্ব নিরসনের মানসে উভয়কে ইখলাসের সাথে কোরবানি করার নির্দেশ প্রদান করেন। অতঃপর মহান রাব্বুল আলামিন তাকওয়ার ভিত্তিতে হাবিলের কোরবানি কবুল করলেন এবং কাবিলের কোরবানি প্রত্যাখ্যান করলেন। আর এভাবেই মানব ইতিহাসে কোরবানির প্রচলন শুরু হয়।

মহান আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা বলেন, আদমের দুই পুত্রের (হাবিল ও কাবিলের) বৃত্তান্ত তুমি তাদেরকে যথাযথভাবে শুনিয়ে দাও, যখন তারা উভয়ে কুরবানি করেছিল, তখন একজনের কুরবানী কবুল হলো এবং অন্যজনের কুরবানি কবুল হলো না। তাদের একজন বলল, ‘আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করব। অপরজন বলল, ‘আল্লাহ তো সংযমীদের কুরবানীই কবুল করে থাকেন। [সূরা মায়িদা (৫):২৭]।

২।আল্লাহ তা’য়ালা মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে অনেকবার পরীক্ষা করেছেন। সকল পরীক্ষায় তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন। একরাতে তিনি স্বপ্নে দেখলেন, আল্লাহ প্রিয়বস্তু কোরবানি করার আদেশ দেন। আদেশ পেয়ে ইবরাহিম (আ.) মহা চিন্তায় পড়ে যান। হযরত ইবরাহীম (আ.) এর সবচেয়ে প্রিয় বস্তু তো স্বীয় পুত্র ইসমাঈল।ইবরাহিম (আ.) নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন তাঁর শিশুপুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে।

তাই তিনি নিজ পুত্রকেই কোরবানি করার জন্য মনস্থির করেন। ইসমাঈল (আ.) তখন বেশ ছোট। তাঁকে কোরবানির কথা জানানো হলে ইসমাঈল (আ.) পিতার কথা হাসিমুখে গ্রহণ করেন।
ইবরাহিম (আ.) কোরবানি সম্পন্ন করার জন্য স্ত্রী হাজেরা ও ইসমাঈলকে নিয়ে একদিন মিনা প্রান্তরে হাজির হন। এরপর ইবরাহিম (আ.) প্রাণাধিক স্নেহের পুত্রের চোখ বেঁধে কোরবানি দিতে উদ্যত হন। তখন মহান আল্লাহর কুদরতে আকাশ থেকে এক আওয়াজ এলো : ‘হে ইবরাহিম থামো। তোমার আত্মত্যাগ ও স্বার্থত্যাগে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তোমার পুত্রকে জবাই করতে হবে না। আমি তো কেবল তোমার আন্তরিকতা পরীক্ষা করে দেখলাম।’ এরপর কুদরতিভাবে আসা একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে গেল। ফলে ইসমাঈল (আ.) মুক্তি পেলেন। ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর আদেশ পালনে শেষ পর্যন্ত অটল থাকায় তাঁর কাজে আল্লাহ অত্যন্ত খুশি হন।

পবিত্র কুরআনে এসেছে, ইব্রাহীম (আ.) যখন আল্লাহর কাছে দু’আ করলেন,হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে এক সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান কর। অতঃপর আমি তাকে এক অতি ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। অতঃপর সে যখন তার পিতার সাথে চলাফিরা করার বয়সে পৌঁছল, তখন ইবরাহীম বলল, ‘বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে যবহ করছি, এখন বল, তোমার অভিমত কী? সে বলল, ‘হে পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তাই করুন, আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীলই পাবেন। দু’জনেই যখন আনুগত্যে মাথা নুইয়ে দিল আর ইবরাহীম তাকে কাত ক’রে শুইয়ে দিল। তখন আমি তাকে ডাক দিলাম, ‘হে ইবরাহীম! স্বপ্নে দেয়া আদেশ তুমি সত্যে পরিণত করেই ছাড়লে। এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। অবশ্যই এটা ছিল একটি সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি এক মহান কুরবাণীর বিনিময়ে পুত্রটিকে ছাড়িয়ে নিলাম। আর আমি তাকে পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম। ইবরাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হোক! সৎকর্মশীলদেরকে আমি এভাবেই প্রতিদান দিয়ে থাকি। সে ছিল আমার মু’মিন বান্দাহদের অন্তর্ভুক্ত। [সূরা আস- সাফফাত:১০০- ১১১]।

কুরবানির ফজিলত :
পশুর রক্ত প্রবাহিত করার মাধ্যমে কুরবানি দাতা আল্লাহ রাববুল ‘আলামিনের নৈকট্য অর্জন করেন। যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেন :-

‘আল্লাহর নিকট পৌঁছায় না উহার গোশত এবং রক্ত, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাক্বওয়া। এ ভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদের পথ-প্রদর্শন করেছেন; সুতরাং আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মপরায়নদেরকে।’ [সূরা হজ্ব:৩৭]।

লেখক : শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট