
টানা উত্থানের পর এশীয় শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার কিছুটা স্থির হয়েছে, আর জাপানি ইয়েন ইউরো ও সুইস ফ্রাঁর বিপরীতে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিনিয়োগকারীরা মাস ও প্রান্তিক শেষে নতুন দিকনির্দেশনা খুঁজছেন।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শেয়ার সূচক এমএসসিআই ০.১% হ্রাস পেয়েছে। যদিও পুরো মাসে ৫% এবং প্রান্তিকে ৯% বৃদ্ধির রেকর্ড করেছে। জাপানের নিক্কেই সূচক দিন শেষে ০.২% বেড়েছে, তবে মাসজুড়ে ৭% এবং প্রান্তিকে ১৩% লাফ দিয়েছে।
চীনা বাজার তুলনামূলক ভালো করেছে। ব্লু-চিপ সূচক ০.৭% এবং হংকংয়ের হ্যাং সেন সূচক ০.২% বেড়েছে। চীনা প্রযুক্তি শেয়ারের ধারাবাহিক অষ্টম সপ্তাহের উত্থান এটিকে রেকর্ডে পৌঁছে দিয়েছে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগ আশাবাদের ফল।
অন্যদিকে, ইয়েনের ওপর ব্যাপক চাপ পড়েছে। সুইস ফ্রাঁ ইয়েনের বিপরীতে সর্বকালের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। ইউরো-ইয়েনও এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন ডলারের শক্তিশালী অবস্থান এবং ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের দিকনির্দেশনার কারণে ইয়েনের প্রতি আস্থা নড়বড়ে হয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিটে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শেয়ারদর কমেছে, বিনিয়োগকারীরা রেকর্ড উচ্চতায় ওঠা শেয়ার থেকে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। তবে ফেডের আগামী অক্টোবর মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ৯২% বলেই বাজারে ধারণা তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, নতুন তথ্য-উপাত্ত ও প্রভাবশালী খবরের অভাবে বাজার সাময়িকভাবে স্থবির, তবে ফেডের ভবিষ্যৎ নীতি ও মার্কিন অর্থনৈতিক সূচক বাজারে পরবর্তী দিকনির্দেশনা দেবে।