বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ১৩টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছেন। এই বৈঠকটি বুধবার (২৩ জুলাই, ২০২৫) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল ও তাদের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন:
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন: সৈয়দ হাসিবউদ্দিন হোসেন
গণসংহতি আন্দোলন: জোনায়েদ সাকি
এবি পার্টি: মজিবুর রহমান মন্জু
নাগরিক ঐক্য: শহীদুল্লাহ কায়সার
গণঅধিকার পরিষদ: নুরুল হক নুর
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি): রেদোয়ান আহমেদ
খেলাফত মজলিস: ড. আহমদ আবদুল কাদের
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি: সাইফুল হক
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি): তানিয়া রব
১২ দলীয় জোট: শাহাদাত হোসেন সেলিম
বাংলাদেশ সম্মিলিত সামাজিক দল (বাসদ): বজলুর রশীদ ফিরোজ
কমিউনিস্ট পার্টি অফ বাংলাদেশ (সিপিবি): রুহিন হোসেন প্রিন্স
গণফোরাম: ডা. মিজানুর রহমান
এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা জোরদার করা। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তাদের ঐক্য আরও দৃশ্যমান করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে জাতীয় সংকট মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (২২ জুলাই, ২০২৫) রাতে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)-এর নেতাদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেন, যেখানে তারা সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বৈঠকের বিষয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদবিরোধী ইস্যুতে একমত এবং তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যকে আরও জোরদার করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
এই বৈঠকটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, প্রধান উপদেষ্টার এই উদ্যোগ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সহযোগিতার একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে, যা বাংলাদেশের চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।