উপকূলীয় জেলা ভোলায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ। এর মধ্যে আজ (৮ জুলাই ২০২৫) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মাত্র তিন ঘণ্টায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
টানা ভারী বর্ষণের ফলে জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন অলিগলিতে পানি জমে যাওয়ায় জলজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ। রিকশাচালক, দিনমজুর এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছেন। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক এলাকায় মানুষজনকে ঘর থেকেও বের হতে বেগ পেতে হচ্ছে।
ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এই ভারী বর্ষণ হচ্ছে এবং এটি আরও কিছু সময় অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ-সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।
এর ফলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভোলার অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার বেশ কয়েকটি রুটে লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। এতে জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।