1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোলা সদর উপজেলার শিক্ষা উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে পাবলিক হেয়ারিং অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ট্রলার মাঝি হত্যার মামলায় পলাতক প্রধান অভিযুক্ত সোহেল ফকির গ্রেফতার পরীক্ষার হলে ফোন নিয়ে প্রবেশে শিক্ষার্থীকে আটক করায় শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা কুলাউড়ায় ভারতীয় ৩ লাখ টাকার সিগারেট জব্দ কমলগঞ্জে প্রভাবশালীর বাঁধায় চলাচলের রাস্তাটি প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ ভিয়েতনামে Xbox উৎপাদনে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ফক্সকনের রুপি ৯০ ছাড়িয়ে পতন, মার্কিন শুল্ক ও বিনিয়োগ বহিঃপ্রবাহে চাপ ফিউজলেজ প্যানেলে ত্রুটি: ৬২৮টি এয়ারবাস A৩২০ পরিদর্শনের মুখে ১৯ দেশের নাগরিকদের অভিবাসন আবেদন স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন ব্ল্যাকরক দীর্ঘমেয়াদী ট্রেজারিগুলোতে মতামত পরিবর্তন করল, এআই অর্থায়নের ঢেউয়ে ঋণ খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা

প্রবল বর্ষণে ভাসছে দক্ষিণাঞ্চল, জনজীবনে চরম দুর্ভোগ

মোঃ সামিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
  • ২০৫ বার পড়া হয়েছে

সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতে দেশের দক্ষিণাঞ্চল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার অবিরাম বর্ষণে উপকূলীয় জেলাগুলোর জনজীবন মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, রাস্তাঘাট ও নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। আকস্মিক এই দুর্যোগে বহু মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত এই মৌসুমের অন্যতম সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালীতে, যেখানে ১৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঠিক এর পরেই রয়েছে বরগুনা, সেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৭৫ মিলিমিটার, যা ওই অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে পুরোপুরি থামিয়ে দিয়েছে।

বৃষ্টির তীব্রতা শুধুমাত্র এই দুটি জেলাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার এবং ফেনীর পরশুরামেও ১৫৭ মিলিমিটারের ভারী বর্ষণ হয়েছে। এছাড়া নোয়াখালীর হাতিয়ায় ১৪৬ মিলিমিটার ও জেলা সদরে ১৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ফেনী শহর, পর্যটন নগরী কক্সবাজারের টেকনাফ এবং পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় বর্ষণের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৩৪, ১২৫ ও ১২১ মিলিমিটার। বর্ষণের এই তীব্র ধারা চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অন্যান্য জেলাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এবং বাগেরহাটের মংলায় সমান ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত জনদুর্ভোগকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

গোপালগঞ্জ, খুলনা, বরিশাল, ভোলা, চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানেও ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা এই বর্ষণের ব্যাপকতার ইঙ্গিত দেয়। এই টানা বর্ষণের ফলে শহরাঞ্চলগুলোতে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে এবং গ্রামীণ জনপদের হাজার হাজার একর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, এই অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে এবং কয়েকটি নদীর পানি ইতোমধ্যে বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে দক্ষিণাঞ্চলে একটি স্বল্পমেয়াদী বন্যার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। একই সাথে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু অত্যন্ত সক্রিয় থাকায় এই পরিস্থিতি আরও প্রায় ৪৮ ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত জেলে ও নৌযানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সার্বিকভাবে, আকস্মিক এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট