নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ঘোলকুড়ী গ্রামের মোঃ মোবারক হোসেনের একটি গরু অনেকদিন যাবৎ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।অনেক চিকিৎসা করার পরও গরুটি সুস্থ হয় না এমনকি গরুর গা থেকে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।তিনি কোন উপায় না পেয়ে গরুটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলে পাশের গ্রামের গরু ব্যবসায়ী শ্রী অষ্টম কুমারের সহযোগিতায় রাজশাহী শহরের কোন এক হোটলে বিক্রি করেন,যা একেবারে অমানবিক।
গরুটি হোটেলে বিক্রির অনুপযোগী হওয়ায় ঘোলকুড়ী গ্রামের সাধারন মানুষ ও আশেপাশের মানুষ গাড়ী সহ গরু আটকিয়ে দেয়।সাংবাদিক উক্ত বিষয় জানতে পারলে সেখানে উপস্থিত হয়।মূল মালিককে উপস্থিত না পেয়ে গাড়ীর ড্রাইভার মোঃ শাহিন কে কিছু জিজ্ঞেসাবাদ করলে তিনি বলেন আমার কোন অপরাধ নেয়,আমি গাড়ী চালিয়ে আমার সংসার অতিবাহিত করি আমাকে ভাড়া করে এনেছে তাই আমি এসেছি তবে এটা অন্যায়।
কোন উপায় না পেয়ে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতির দিকে বিবেচনা করে নিয়ামতপুর থানার ওসি জনাব মোঃ হাবিবুর রহমানকে ফোন দিলে রিসিভ করেন নি।সবশেষে জুম্মার নামাজের সময়কে বিবেচনা করে নিয়ামতপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন দিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন গরু যে বিক্রি করেছেন তাকে ফিরিয়ে দেন,তাছাড়া ইউ,এন,ও মহোদয় গাড়ীর ড্রাইভার ও গরুর মালিকের সাথে কথা বলেছেন ইউ,এন,ও মহোদয়ের নির্দেশক্রমে গরুটি ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও তথ্য জানা যায় যে ইউ,এল,ও মহোদয় বিষয়টি জানার পর সেখানকার উপস্থিত বি,এন,পি দলের ওয়ার্ড সাধারন সম্পাদক জনাব মোঃ খালেকুজ্জামান (মিলন) কে নিস্পতি করার জন্য অনুরোধ করেন।জনাব মোঃ খালেকুজ্জামান (মিলন) উপস্থিত জনতার স্বাক্ষর নিয়ে এরকম ঘটনা আর যেন পুনরাবৃত্তি না হয় তাই গাড়ীর ড্রাইভার জনাব মোঃ শাহিনের কাছ থেকে মুছলেখা নিয়ে বিদায় করেন।