আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বা মে দিবস উপলক্ষে ১ মে ২০২৫-এ বিশ্বজুড়ে লক্ষাধিক মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১,০০০ শহরসহ এশিয়া, ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভের মূল বার্তা ছিল—যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈষম্যমূলক অর্থনৈতিক ও অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত বিক্ষোভগুলোর মূল ফোকাস ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত নতুন শুল্কনীতি ও অভিবাসন বিরোধী পদক্ষেপ। নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভকারীরা “Rule of Law” বা আইনের শাসনের পক্ষে সোচ্চার হন। তারা বলেন, “প্রতিটি মানুষ সমান আইনের অধীনে—কিন্তু ট্রাম্পের নীতি সেই নীতি ভঙ্গ করছে।”
অন্যদিকে বার্লিনে বিক্ষোভকারীরা প্রতীকীভাবে প্রযুক্তি শিল্পপতি এলন মাস্কের নাম নিয়ে প্রতিবাদ জানান, যাকে তারা “বিলিয়নিয়ার মুনাফাবাজদের” প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেন। তারা বলেন, শ্রমিকের ঘামে যারা মুনাফা করছে, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতেই এই প্রতিবাদ।
এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার নানা শহরেও ছিল ব্যাপক উপস্থিতি। শ্রম অধিকারের দাবিতে নানা শ্লোগানে মুখর ছিল রাস্তাঘাট। মানবাধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং শ্রমিকের সম্মান আদায়ের ডাক উঠে আসে প্রতিটি মিছিল থেকে।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৫ সালের মে দিবস ছিল সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বৃহৎ শ্রমিক আন্দোলন, যা একদিকে যেমন ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির প্রতি ব্যাপক বিরোধিতা প্রকাশ করে, তেমনি বৈশ্বিক শ্রমজীবী মানুষের সংহতির এক বিরল উদাহরণও স্থাপন করে।
সাম্প্রতিক দাবিগুলো:
বিক্ষোভকারীদের ভাষায়, “এই আন্দোলন শুধু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নয়, বরং একটি ন্যায্য সমাজ ব্যবস্থার জন্য।”