ভোলার দৌলতখানে সন্ত্রাসী কাজে বাঁধা দেয়ায় নারী সহ ৪জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ওই সন্ত্রাসী। আহতরা বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভূক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, দৌলতখান উপজেলার মধ্য জয়নগর ৭নং ওয়ার্ডের নুরুল ইসলামের ছেলে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এলাকায় নানা ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে এলাকায় রামরাজত্ব কায়েম করেছিলো। পরবর্তিতে সরকার পতনের পরও বন্ধ হয়নি তার এসব অপকর্ম। জানাগেছে, আকবর ছিলো ওই এলাকার মোবাইল চুরি চক্রের প্রধান। অন্যদিকে সে বিকাশ ক্যালেঙ্কারী, মাদক ব্যবসা, ইভটেজিংসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলো। এমতাবস্থায় ওই এলাকার শান্তি রক্ষার্থে আকবরের এসব অপকর্ম বন্ধ করার জন্য প্রতিবাদে নামে দক্ষিণ জয়নগর ৯নং ওয়ার্ডের আবদুল কাদেরের দুই ছেলে আলআমিন ও ইলিয়াস। পরবর্তিতে এদেরকে প্রতিহত করার জন্য, সন্ত্রাসী আকবর আলআমিনদের নামে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে ভোগান্তির মধ্যে রাখে। শুধু এতেই ক্ষান্ত হয়নি সন্ত্রাসী আকবরেরা। জানাগেছে, একমাত্র তার অপকর্মে বাঁধা প্রদান করাতে আলআমিনদের উপর আরো ক্ষিপ্ত হয় সন্ত্রাসী আকবর। এর রেশ ধরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টার দিকে আকবর ও তার দুই ভাই শিপন, কামরুল ও তাদের বাবা নুরুল ইসলামসহ একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্থানীয় মাদবর বাজারে আলআমিনের উপর হামলা চালায়। এ সময় তার ডাক চিৎকারে ভাই ইলিয়াস ও মা হাসিনা বেগম ও মামাতো ভাই জাভেদ আলআমিনকে বাচাতে এলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। উল্লেখ্য সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ইলিয়াসের নাক, মুখ ও মাথা গরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে গুরুতর রক্তাক্ত জখম ইলিয়াসকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করেণ।
এ ঘটনায় উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথা যথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ ভূক্তভোগীরা।