বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী আজ সারা বিশ্বে বাঙালি ও মানবতাবাদীদের মনে জাগিয়েছে এক অনন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনা। কবিগুরুর জন্মদিনটি শুধুমাত্র একটি তিথি নয়, এটি হয়ে উঠেছে সত্য, শান্তি, ন্যায় এবং মানবতার বাণীর প্রতীক।
কলকাতার জ্যোতিরিন্দ্র নাথ ঠাকুর বাড়িতে ১৮৬১ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ। প্রতিভাবান এই সন্তানকে গড়ে তুলতে থাকেন মা সারদাসুন্দরী দেবী। আধুনিক ভারতীয় সংস্কৃতির এই অন্যতম প্রধান প্রবর্তক ছিলেন একজন কবি, নাট্যকার, গীতিকার, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক এবং সমাজসংস্কারক। তাঁর লেখনী থেকে উৎসারিত হয়েছে গভীর চিন্তাভাবনা ও মানবিক মূল্যবোধ।
রবীন্দ্রনাথের রচনাবলীতে প্রকাশ পেয়েছে মানবতার সর্বোচ্চ আদর্শ এবং মানুষের মুক্তি ও সম্মানের প্রয়াস। তাঁরই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি পড়াশোনা করছে ‘গুরুদেবের’ বাণী। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘রবীন্দ্রনাথ স্টাডিজ’ পাঠ্যক্রম চালু করেছে। আন্তর্জাতিক সাহিত্য ও শান্তি পুরস্কার জয়ের মাধ্যমে তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্বে ভারতকে পরিচিত করিয়েছেন।
মানবিক মূল্যবোধ ও আদর্শের পথ-নির্দেশনা তাঁর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদান। সব ধর্ম, বর্ণ, জাত নির্বিশেষে মানুষের কাছে একটি অমোঘ বাণী নিয়ে এসেছিলেন তিনি। তাই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাঙালিসহ সারা বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে প্রবাসী বাঙালিরা। আজও তাঁর লেখা গান, কাব্য এবং প্রবন্ধগুলো বিশ্বব্যাপী পাঠ ও অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সহস্র বছর পরেও জনপ্রিয় থাকবেন রবীন্দ্রনাথের মতো বিশ্বনায়ক। কারণ তাঁর বাণী কালজয়ী। মানুষের মনের গভীরেই লুকিয়ে আছে তাঁর বাণীর সামগ্রিক প্রেরণা।