1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫-এ স্বর্ণপদক অর্জনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ভোলার চর কুকরী মুকরীতে শুটকি উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে নানা আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপিত জুড়ী উপজেলা বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সভাপতি রেজা, সম্পাদক মতিউর অস্বাভাবিকভাবে শান্ত ক্রেডিট বাজারে উদ্বেগের কিছু ক্ষেত্র চীনের ইস্পাত রপ্তানি বৃদ্ধির মুখে জাপানের ইস্পাত শিল্প শুল্ক ফাঁকি রোধে সংস্কার দাবি করছে  গুগল অস্ট্রেলিয়ার টেলিকম কোম্পানিগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা-বিরোধী চুক্তির জন্য ৩৬ মিলিয়ন ডলার জরিমানায় সম্মত চীনের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ঠাণ্ডা হচ্ছে: প্রবৃদ্ধি মন্দা, বাজারে চ্যালেঞ্জ ভারতের রুশ ক্রুড তেল ক্রয় বন্ধ করতে হবে: মার্কিন উপদেষ্টা নাভারো  ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক ও জ্যাকসন হোল সম্মেলনের আগে মার্কিন ডলার স্থিতিশীল

২১ বছর পর প্রেমের টানে ডেনমার্ক থেকে বরগুনায় ফিরে এলেন রুমানা মারিয়া

বরগুনা প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে


ভালোবাসা কি শুধু কিছু মুহূর্তের অনুভব? নাকি তা সময় ও দূরত্ব পেরিয়েও বেঁচে থাকে চিরকাল? এমনই এক বাস্তব প্রেমকাহিনির সাক্ষী হয়েছে বরগুনা, যেখানে দীর্ঘ ২১ বছর পর ফেসবুকের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া ভালোবাসার মানুষকে ফিরে পেতে সুদূর ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন ডেনিশ নাগরিক রুমানা মারিয়া। আর তাকে বরণ করতে ঢাকায় ছুটে যান প্রেমিক মাহবুবুল আলম মান্নু।

১৯৯৭ সালে ডেনমার্কে পরিচয়, তারপর প্রেম আর বিয়ে—এই গল্প শুরু হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে। জীবিকার তাগিদে ডেনমার্কে পাড়ি জমিয়েছিলেন বরগুনার তরুণ মান্নু। সেখানে এক বন্ধুর ফাস্টফুড দোকানে পরিচয় হয় রুমানা মারিয়ার সঙ্গে। প্রথমে বন্ধুত্ব, পরে প্রেম, এবং একসময় তারা বিয়েও করেন।

স্ত্রীর ইচ্ছায় একই বছর বাংলাদেশে ফিরে বরগুনায় জীবন শুরু করেন এই দম্পতি। ‘আকন ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে দরিদ্র মানুষের সেবায় কাজ শুরু করেন তারা। তবে রাজনৈতিক ও স্থানীয় চাপের কারণে সেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে রুমানাকে বাধ্য হয়ে ডেনমার্কে ফেরত পাঠাতে হয় মান্নুকে। ধীরে ধীরে কমতে থাকে যোগাযোগ, অবশেষে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রুমানা পরে আরেকটি সম্পর্কে জড়ালেও তা টেকেনি।

প্রায় দুই দশক পর, ২০২4 সালের জানুয়ারিতে হঠাৎই ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া মান্নুকে চিনে ফেলেন রুমানা। শুরু হয় কথা, যোগাযোগ, অতীতের স্মৃতিচারণ। অবশেষে ১০ এপ্রিল, মাত্র দশ দিনের ছুটি নিয়ে রুমানা মারিয়া আবার ছুটে আসেন তার ভালোবাসার মানুষের কাছে। ঢাকায় দেখা করে দুজন ফিরে যান বরগুনায়, এবং সেদিনই আসরের নামাজের পর এক লক্ষ টাকা দেনমোহরে পুনরায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই যুগল।

বিয়ে সম্পন্ন হয় মাহবুবুল আলম মান্নুর নিজ বাড়িতে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও বরগুনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যরা। মান্নু বর্তমানে দৈনিক আমাদের সময়ের বরগুনা প্রতিনিধি এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি।

মান্নু বলেন, “তিন বছর পরেও যখন আমাদের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তখনও বিশ্বাস ছিল, একদিন না একদিন দেখা হবেই। এবার দেখা হলো, আবার ঘর হলো। ডেনমার্কের অ্যাম্বাসির সঙ্গে কথা হয়েছে, ম্যারেজ সার্টিফিকেট জমা দিলে সে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থাকার অনুমতি পাবে। আর যদি আমি তার সঙ্গে ডেনমার্কে যাই, তাতেও তার কোনো আপত্তি নেই।”

এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, প্রেম কখনোই হার মানে না সময় বা দূরত্বের কাছে। ভালোবাসার টানে, যেখানে ইচ্ছা, সেখানেই পথ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট