
নাইজেরিয়া জানিয়েছে, ইসলামিক বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মার্কিন সাহায্য গ্রহণ করবে, তবে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখানো আবশ্যক। এটি এসেছে তখনই যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ তুলে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ট্রাম্প বলেছিলেন যে, তিনি প্রতিরক্ষা দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন “দ্রুত” সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিতে, যদি নাইজেরিয়ার সরকার খ্রিস্টান হত্যাকারীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়। রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা নাইজেরিয়ায় প্রয়োজনে পাঠানো বা বিমান হামলা চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রাম্প বলেন, “আমি অনেক কিছুই কল্পনা করি,” তবে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবুর উপদেষ্টা ড্যানিয়েল বলোয়া সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা মার্কিন সাহায্য স্বাগত জানাই, যতক্ষণ তা আমাদের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে।” তিনি ট্রাম্পের মন্তব্যকে খুব গুরুতরভাবে নেননি এবং আশা প্রকাশ করেন যে দুই দেশের নেতৃত্বের বৈঠকে সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ উদ্যোগে ভালো ফলাফল আসবে।
নাইজেরিয়া, যার জনসংখ্যা ২ কোটি মানুষ এবং ২০০টিরও বেশি জাতিগত সম্প্রদায়, দেশটি মূলত মুসলিম উত্তর এবং খ্রিস্টান দক্ষিণে বিভক্ত। বোকো হারাম এবং ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভৃতি ইসলামিক বিদ্রোহী সম্প্রদায় ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেশটিতে সহিংসতা চালাচ্ছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদ্রোহীদের হামলায় মারা যাওয়া বেশিরভাগ মানুষই মুসলিম।
দেশের মধ্যাঞ্চলে প্রধানত মুসলিম পশুপালক এবং খ্রিস্টান কৃষকদের মধ্যে জল ও চরার ব্যবহাকে কেন্দ্র করে সংঘাত ঘটে। পাশাপাশি উত্তরের গ্রামে বন্দুকধারীরা নিয়মিত হামলা চালিয়ে মানুষকে মুক্তিপণ চায়। এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।