
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ট্রাম্প প্রশাসনের “অপারেশন মিডওয়ে ব্লিজ” অভিযান চলাকালীন ফেডারেল অভিবাসন কর্মকর্তাদের বডি ক্যামেরা চালু রাখতে বাধ্য করেছেন ফেডারেল বিচারক সারা এলিস। গত শুক্রবারের আদেশে তিনি বলেন, জনসাধারণের সঙ্গে যেকোনো মুহূর্তে ক্যামেরা বন্ধ থাকলে তা আদালতের আগের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ হবে।
১৭ অক্টোবরের শুনানিতে বিচারক এলিস দেখেন, অভিবাসন ও কাস্টমস এজেন্টরা (ICE) পূর্বের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পূর্বাভাস ছাড়াই টিয়ার গ্যাস ছুড়েছেন। তাই তিনি ৬ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যকর নতুন আদেশে বলেছেন—
– সব ফেডারেল এজেন্টকে দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ধারণ ও বডি ক্যামেরা চালু রাখতে হবে
– টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট বা অন্য দাঙ্গা-নিয়ন্ত্রণ সরঞ্জাম ব্যবহারের আগে স্পষ্ট সতর্কবাণী দিতে হবে
– সাংবাদিক, পাদ্রি ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর বলপ্রয়োগ কেবল ‘সরাসরি হুমকি’ থাকলেই করা যাবে
আদালত আগামী সোমবার ICE, ডিএইচএস ও ডিওজিকে শুনানিতে হাজির হয়ে নির্দেশ পালনের বিস্তারিত জানাতে বলেছেন।
ট্রাম্পের ‘মিডওয়ে ব্লিজ’ অভিযানে গত কয়েক সপ্তাহে শিকাগোতে গণগ্রেপ্তার চলে; পাল্টা বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে প্রেসিডেন্ট ইলিনয়েই ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের ঘোষণা দেন। বিক্ষোভকারী, সাংবাদিক ও ধর্মযাজকদের দায়ের করা মামলায় দাবি করা হয়, তারা “পূর্বপরিকল্পিতভাবে লক্ষ্যবস্তু” হিসেবে নিপীড়নের শিকার।
একই সঙ্গে ইলিনয় অ্যাটর্নি জেনারেল কওমে রাউলের পৃথক মামলায় অন্য বিচারক গার্ড মোতায়েন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন; বৃহস্পতিবার আপিল আদালত ওই স্থগিতাদেশ বহাল রাখে।