
অনলাইন প্রতারক চক্রে জড়িত সন্দেহে কম্বোডিয়ায় আটক ৬৪ দক্ষিণ কোরীয় নাগরিক শনিবার ইনচন বিমানবন্দরে ফিরলেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। চলতি সপ্তাহে ‘কোড-ব্ল্যাক’ সতর্কতা জারি করে কম্বোডিয়ার কয়েকটি অঞ্চলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সিউল; একই সঙ্গে সারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে অবৈধ চাকরির বিজ্ঞাপন সরাতে রাষ্ট্রপতি লি জে মিয়াং বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন।
গত আগস্টে কম্বোডিয়ায় এক দক্ষিণ কোরীয় কলেজছাত্রকে চাকরির প্রলোভনে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় দেশটির স্ক্যাম কম্পাউন্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ফেরত আসা অনেকেই কাপড় দিয়ে হাত ঢাকা কাফসহ পুলিশ প্রহরায় বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তদন্ত কেন্দ্রে নেওয়া হয়।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উই সুং-লাক জানান, প্রায় ২ লাখ বিদেশির মধ্যে এক হাজারের বেশি দক্ষিণ কোরীয় নাগরিক এখনও কম্বোডিয়ার বিভিন্ন প্রতারক ক্যাম্পে আটকে আছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ড ভাইস মিনিস্টার কিম জিনা বলেন, “আজকের প্রত্যাবাসন কম্বোডিয়া সরকারের বিরামহীন অভিযান ও সিউলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রমাণ। আমরা দক্ষিণ কোরীয়দের টার্গেট করা স্ক্যাম নির্মূলে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলব।”
উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, কম্বোডিয়া থেকে আটক হলে দক্ষিণ কোরীয়দের সেখানেই বিচার না করে দ্রুত দেশে পাঠানোর সমঝোতা হয়েছে; ফলে অপরাধী নেটওয়ার্কের গঠন, আকার ও আন্তঃসংযোগ উদঘাটন সহজ হবে। অধিকাংশ প্রতারণা ভয়েস-ফিশিং ও অনলাইন ঠকবাজির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ঘটে থাকে।
জাতিসংঘের হিসাবে, কোভিড-১৯ মহামারীর পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো প্রতি বছর অপরাধী নেটওয়ার্কের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করে।