
পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নে হাটের ইজারা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
বুধবার রাতে লোহালিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকায় স্থানীয় বিএনপি নেতা কবির মৃধা ও সোহাগ মাঝি গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। হাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সোহাগ মাঝি ও তার সহযোগীরা প্রতিপক্ষ মফিজুল মৃধাকে দা ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উভয় পক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এসময় পাঁচ পুলিশ সদস্য—এসআই জহির, এএসআই আব্দুর রহমান, কনস্টেবল মহিবুল্লাহ, কনস্টেবল মো. রানা ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত মফিজুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং পরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকা শান্ত করে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ আমিনুল হক চৌধুরী (৪৫), পলাশ হাওলাদার (২৫) ও রমজান আলী (৬৫) নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “হাটের ইজারা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। এতে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।