গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর উদ্যোগে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজ থেকে আটক কর্মীদের ইসরায়েলে নিয়ে যাচ্ছে দেশটির নৌ কমান্ডোরা। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ পরিবেশবাদী আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গও। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইসরায়েলের দাবি, আটক সবাইকে নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ইসরায়েলে আনা হচ্ছে। তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠাতে ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। খবরে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ফ্লোটিলার অন্তত ৪৪টির মধ্যে ২১টি নৌযান আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে শুরু করে গাজার উপকূল ঘেঁষা এলাকাতেও এ অভিযান চালানো হয়।
আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৩৭ দেশের দুই শতাধিক কর্মী-সামাজিক আন্দোলনকারীকে বন্দি করেছে ইসরায়েল। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের শহিদুল আলম এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রুহি আক্তার রুহি। শহিদুল আলম “কনশায়েন্স” নামের জাহাজে রয়েছেন, যা সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখনো আটক হয়নি।
অন্যদিকে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বাধা তাদের মিশন থামাতে পারবে না। অন্তত ৩০টি জাহাজ গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং উপকূল থেকে মাত্র ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সংগঠনটির দাবি, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় খাদ্য ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, গাজামুখী নৌযানগুলো তাদের আরোপিত অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বৈধ অধিকার রয়েছে। ফ্লোটিলার যাত্রা নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে, বিশেষ করে গ্রেটা থুনবার্গ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক কর্মীদের আটক হওয়ার ঘটনায়। এদিকে, সংগঠনের দাবি—বাধা সত্ত্বেও মানবিক করিডর খুলে দিতে লড়াই অব্যাহত থাকবে।