মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি গুস্তাভো পেত্রোর ভিসা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে, কারণ তিনি নিউইয়র্কে গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদে অংশ নিয়ে মার্কিন সেনাদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশ অমান্য করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের রাস্তায় অনুষ্ঠিত একটি প্রো-প্যালেস্টাইন প্রতিবাদে কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি গুস্তাভো পেত্রো অংশগ্রহণ করেন। এই প্রতিবাদটি গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল, যেখানে পেত্রো মার্কিন সেনাদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ অমান্য করার আহ্বান জানান। এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর শনিবার ঘোষণা করে যে, পেত্রোর এই “অবিবেচক এবং উস্কানিমূলক” কাজের কারণে তার ভিসা বাতিল করা হবে। দপ্তরের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা পেত্রোর ভিসা বাতিল করব তার অবিবেচক এবং উস্কানিমূলক কাজের কারণে।”
এই ঘটনার পটভূমি গাজা যুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনা এবং মার্কিন নীতির সাথে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর বৈচিত্র্যময় অবস্থান। কলম্বিয়ার মতো দেশগুলো সাম্প্রতিককালে ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতে প্যালেস্টাইনের পক্ষে আরও সোচ্চার হয়েছে। পেত্রো, যিনি ২০২২ সাল থেকে কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি, বামপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত এবং তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে মানবাধিকার ও শান্তির বিষয়ে সক্রিয়।
পেত্রো এই সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিয়েছেন এবং বলেছেন, “আমি এতে কিছু মনে করি না।” তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও করেছেন। এই ঘটনায় কলম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরা সারাহ ভিলাভিসেনসিও তার মার্কিন ভিসা ছেড়ে দিয়েছেন সংহতির প্রকাশে। এটি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর আরও প্রভাব ফেলতে পারে, যদিও উভয় পক্ষই এখন পর্যন্ত আরও কোনো পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়নি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশী নেতাদের প্রতি কঠোর অবস্থানের একটি উদাহরণ হতে পারে।