গাজা শহরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থল ও বিমান আক্রমণ অব্যাহত থাকায় কমপক্ষে ৩৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাহিনীটির দাবি, অভিযানে তল্লাশি-আড়ালের সুরঙ্গ ও অন্তর্ভূক্ত স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও বুলডোজার শহরের পূর্বাংশের শেজাইয়া ও তুফাহ এলাকায় প্রবেশ করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গভীর রাতে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং একাধিক বাড়ি ধ্বংসের খবর পাওয়া গেছে।
গাজা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র আশরাফ কিদরা জানান, ‘আজ ভোর থেকে এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মরদেহ হাসপাতালে এসেছে, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৭০ জনের বেশি।’ তিনি আশঙ্কা করছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও লোক আটকে থাকতে পারে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা হামাসের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে কামান ও বিমান হামলা চালাচ্ছি। সুরঙ্গ, রকেট উৎপাদন কারখানা ও কমান্ড সেন্টার ধ্বংস করা হয়েছে।’ তবে ফিলিস্তিনি পক্ষ বলছে, বেসামরিক এলাকায়ই প্রধান আঘাত এসেছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এ ধরনের আক্রমণে বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি অত্যধিক।’ সংস্থাটি দ্রুত সংঘাতমুক্ত অঞ্চল গড়ে তোলা ও মানবিক জরুরি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘আমাদের কাছে নির্ভুল গোয়েন্দা তথ্য আছে যে হামাস আবারও শহরে সামরিক অবস্থান গড়ে তুলছে। আমরা তাদের সেই সুযোগ দেব না।’
সংঘাতের জেরে গাজা শহরের বহু বাসিন্দা আবারও দক্ষিণমুখী স্রোতের মতো নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পথে নেমেছেন। তবে মিশর-রাফাহ সীমান্ত বন্ধ থাকায় তাদের পালানোর পথ ক্রমেই সঙ্কুচিত হচ্ছে।