
ঢাকার এক জুলাই যোদ্ধা নিজেকে ‘ভুয়া যোদ্ধা’ বলে স্বীকার করার জন্য নির্যাতিত হওয়ার অভিযোগ তুলে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গৃহীত মামলায় শাহবাগ থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাদী জাহাঙ্গীর আলম নিজেই বাদী হয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগ অনুসারে, গত বছরের ১৮ জুলাই কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আহত হন জাহাঙ্গীর আলম, যিনি নিজেকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ বলে পরিচয় দেন।
চলতি বছরের ২৭ মে দুপুরে অনুদানের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অফিসে যান। সেখানে তাকে একটি অন্ধকার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মারধর করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, মাথায় আঘাত লাগায় তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফিরলে আবারও নির্যাতন চালানো হয় এবং ‘ভুয়া জুলাই যোদ্ধা’ বলে স্বীকার করার জন্য চাপ দেওয়া হয়।
জাহাঙ্গীর আলমের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর এনি বিবিসি বাংলাকে জানান, “আদালত মামলাটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।” এই ঘটনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের স্মৃতি রক্ষায় গঠিত ফাউন্ডেশনের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, যা আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে।
প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় ব্যাপক সহিংসতা ঘটে, যাতে শতাধিক মানুষ নিহত এবং হাজারো আহত হন। এই ফাউন্ডেশনটি শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং আহত যোদ্ধাদের সহায়তার জন্য গঠিত হলেও, এখন এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।