
জার্মানির নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ৪৩ লাখের বেশি মানুষের ক্রেডিট কার্ড তথ্য চুরি করে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। এই নেটওয়ার্কে জার্মান পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের ছয়জন সাবেক কর্মীও অন্তর্ভুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বুধবার জানিয়েছে, জার্মানির অনুরোধে ক্যালিফোর্নিয়ায় পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে চারজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং একজন কানাডার নাগরিক। তারা বুধবারই আদালতে প্রথমবার হাজির হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্র সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট অব ক্যালিফোর্নিয়ায় পলাতকদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তার করেছে; পরবর্তীতে তাদের জার্মানিতে প্রত্যর্পণ করা হবে।”
জার্মান কর্তৃপক্ষ বুধবার জানায়, সিঙ্গাপুর থেকে কানাডা পর্যন্ত তল্লাশি অভিযানে এ সপ্তাহের শুরুতে আরও ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোট ৪৪ জন সন্দেহভাজন এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। এদের মধ্যে জার্মানির বড় বড় পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারের ছয়জন সাবেক কর্মীও রয়েছেন।
জার্মান পুলিশ ও প্রসিকিউটরদের তথ্য অনুযায়ী, এই চক্র ১৯৩টি দেশের প্রায় ৪৩ লাখ মানুষের ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ চুরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, “নেটওয়ার্ক পরিচালকরা জার্মান পেমেন্ট সার্ভিস প্রসেসরদের নির্বাহী ও কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে এসব লেনদেন প্রক্রিয়াকরণ করেছে।”
এই সমন্বিত অভিযানে জার্মানির নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সিঙ্গাপুরসহ একাধিক দেশ অংশ নিয়েছে। তদন্ত এখনো চলমান।