
অস্ট্রেলিয়ায় সেপ্টেম্বর মাসে পারিবারিক ব্যয় সামান্য বেড়েছে—খাদ্য, স্বাস্থ্য ও জ্বালানিতে খরচ বাড়লেও বিমানভ্রমণ ও আবাসন ব্যয়ে পতনের কারণে সামগ্রিক ভোক্তা চাহিদা দুর্বলই রয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের (ABS) সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, মাসিক গৃহস্থালি ব্যয় সূচক (MHSI) সেপ্টেম্বর মাসে ০.২% বেড়েছে, যা আগস্টে ছিল স্থিতিশীল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে পারিবারিক ব্যয়ের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৫.১%, যা আগস্টে ছিল ৪.৯%। তবে বাস্তব অর্থে তৃতীয় প্রান্তিকে ব্যয় বৃদ্ধি মাত্র ০.২%—আগের প্রান্তিকের ০.৯% প্রবৃদ্ধির তুলনায় অনেক ধীর। এতে তৃতীয় প্রান্তিকের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান পড়েছে ০.১ শতাংশেরও কম।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকস অস্ট্রেলিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক গবেষক হ্যারি মারফি ক্রুজ বলেন, “সাম্প্রতিক গতি বছরের শেষ দিকে কমে আসবে বলে আমরা মনে করছি। প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধি মন্থর হচ্ছে এবং বেকারত্ব বাড়ছে—এই দুই বিষয়ই ভোক্তাদের আস্থায় প্রভাব ফেলছে।”
ABS জানিয়েছে, অবৈধভাবে বিক্রি হওয়া সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের কারণে মোট ব্যয় প্রান্তিকভিত্তিক প্রায় ০.২ শতাংশ পয়েন্ট কমে গেছে।
এদিকে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার রিজার্ভ ব্যাংক (RBA) আগামী মঙ্গলবার সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে ৩.৬% নগদ হারের (cash rate) আরও একটি কাটছাঁট হতে পারে মে মাসের আগে নয়, এমন প্রত্যাশা করছে বাজার।
অক্টোবর মাসে গৃহমূল্য দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হারে বেড়েছে, যা পারিবারিক সম্পদ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিলেও ভোক্তারা এখনো ব্যয়ে সতর্ক।
অন্যদিকে, শ্রমবাজার দুর্বল হয়ে পড়ছে, যা নীতিনির্ধারকদের জন্য ভারসাম্য রক্ষা কঠিন করে তুলছে—একদিকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, অন্যদিকে কর্মসংস্থান ধরে রাখা।
নতুন MHSI সূচকটি এখন খুচরা বিক্রয় রিপোর্টের পরিবর্তে পারিবারিক ব্যয়ের মূল পরিমাপক, যা মোট ভোক্তা ব্যয়ের প্রায় ৬৮% কাভার করে, এর মধ্যে রয়েছে পণ্য ও সেবায় খরচ। সেপ্টেম্বর মাসে সেবা খাতে ব্যয় অপরিবর্তিত থাকলেও খাদ্য ও জ্বালানির মতো পণ্যে ব্যয় ০.৪% বেড়েছে।