
রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর উপকূলের তুয়াপসে বন্দরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার ও তেল টার্মিনালের অবকাঠামোতে আগুন লাগে। রোববার (২ নভেম্বর) ভোরে ঘটে যাওয়া এ হামলায় বন্দরের বেশ কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রাসনোদার অঞ্চলের প্রশাসন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় তুয়াপসে বন্দরে রসনেফট (Rosneft) নিয়ন্ত্রিত তেল টার্মিনালের একটি ট্যাঙ্কারের ডেকে বিস্ফোরণ ঘটে এবং তাতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা ক্রু সদস্যদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ক্রাসনোদার প্রশাসন টেলিগ্রামে এক বার্তায় জানায়, “অচেনা ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ ট্যাঙ্কারের উপর পড়ে ডেকের উপরের অংশে ক্ষতি করে। এরপরই আগুন ধরে যায়।”
তুয়াপসে বন্দর রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি কেন্দ্র, যেখান থেকে অপরিশোধিত তেল ও পরিশোধিত জ্বালানি বিদেশে পাঠানো হয়। হামলার আগে দিনই বাণিজ্যিক সূত্রগুলো জানিয়েছিল, নভেম্বর মাসে এখান থেকে তেল রপ্তানি বাড়ানো হবে। ফলে এই হামলা রপ্তানি প্রবাহে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রশাসনের তথ্যানুসারে, হামলায় বন্দরের ভবনসহ অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে টার্মিনালটি এখনো সচল কিনা তা নিশ্চিত করা যায়নি।
রুশ ও ইউক্রেনীয় টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতে ছড়ানো ছবিতে রাতে বন্দরে আগুনে জ্বলতে থাকা ট্যাঙ্কার ও স্থাপনার দৃশ্য দেখা গেছে, যদিও রয়টার্স এসব তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
হামলার বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য আসেনি, আর ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ চিত্রও এখনও স্পষ্ট নয়।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিয়েভ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ার তেল শোধনাগার, ডিপো ও পাইপলাইনে হামলা বাড়িয়েছে—রুশ সেনাবাহিনীর জ্বালানি সরবরাহ ও লজিস্টিক ব্যাহত করার কৌশল হিসেবে। ইউক্রেন বলছে, এটি রাশিয়ার বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ওপর ধারাবাহিক হামলার “প্রত্যুত্তর অভিযান।”
এছাড়া, পতিত ড্রোনের কিছু ধ্বংসাবশেষ বন্দরের পাশের সসনোভই গ্রামে একটি আবাসিক ভবনে পড়ে ক্ষতি করেছে। কেউ হতাহত না হলেও তুয়াপসের রেলস্টেশনে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।