
চিপ ও জাহাজের শক্তিশালী বৈশ্বিক চাহিদার কারণে অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়ার রপ্তানি অপ্রত্যাশিতভাবে ৩.৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা ব্যবসায়িক আস্থাকে কিছুটা সতর্ক রেখেছে, তবুও সেমিকন্ডাক্টর খাতের প্রবৃদ্ধি অর্থনীতিতে ইতিবাচক গতি এনেছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি দক্ষিণ কোরিয়ার রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.৬% বেড়ে ৫৯.৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। রॉयটার্সের জরিপে অর্থনীতিবিদরা যেখানে ০.২% হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, সেখানে এই ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালো।
সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ রপ্তানি গত বছরের তুলনায় ২৫.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সেপ্টেম্বরের ২২.১% বৃদ্ধির চেয়েও দ্রুত। দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ও উচ্চমূল্যের সার্ভার-কেন্দ্রিক HBM ও DDR5 মেমরি চিপের চাহিদা এবং মূল্যবৃদ্ধিই এই প্রবৃদ্ধির মূল কারণ।
এছাড়া জাহাজ রপ্তানি ১৩১.২% এবং পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের বিক্রি ১২.৭% বেড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র–দক্ষিণ কোরিয়া বাণিজ্য চুক্তি এবং যুক্তরাষ্ট্র–চীন সম্পর্কের কিছুটা উন্নতি বাণিজ্য পরিবেশে অনিশ্চয়তা কমিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকে চীনের ওপর শুল্ক কিছুটা কমানোর চুক্তি হয়, যা সিউলের দুই প্রধান বাণিজ্য অংশীদারের সম্পর্ক উন্নত করেছে।
সিউলের iM সিকিউরিটিজের অর্থনীতিবিদ পার্ক সাং-হিউন বলেন, “সেমিকন্ডাক্টর দামের উল্লম্ফন এবং দৈনিক রপ্তানির গড় বৃদ্ধির কারণে চতুর্থ প্রান্তিকেও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী থাকবে বলে আশা করা যায়।”
অন্যদিকে, অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার আমদানি ১.৫% কমে ৫৩.৫২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মাসিক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৬.০৬ বিলিয়ন ডলারে, যা সেপ্টেম্বরের ৯.৫৩ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে কম।