
হারিকেন মেলিসার তাণ্ডবে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হয়েছে। হাইতিতে ৩০ ও জ্যামাইকায় ১৯ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি পূর্ব কিউবায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিললেও সেখানে প্রাণহানির কোনো reports পাওয়া যায়নি। ঘূর্ণিঝড়টি এখন উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে বারমুডার পাশ দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
ধীরগতির এই ঘূর্ণিঝড়টি হাইতিকে সরাসরি আঘাত না করলেও টানা বৃষ্টিপাতে দেশটির দক্ষিণের পেটিট-গোয়াভ শহরে নদী ভাঙনের ঘটনায় অন্তত ২৩ জন, যার মধ্যে ১০ শিশু, নিহত হন। রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি ও কৃষিজমি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
জ্যামাইকায় সরাসরি আঘাত হানা ইতিহাসের শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি মেলিসা। মঙ্গলবার ক্যাটাগরি ৫ হারিকেন হিসেবে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমে আঘাত হানে এটি। জ্যামাইকার তথ্যমন্ত্রী নিহত ১৯ জনের পাশাপাশি ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ জোরদারের কথা জানিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন এবং বহু ভবনের ছাদ উড়ে যায়।
একিউওয়েদারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিম ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মেলিসার造成的 ক্ষয়ক্ষতি ও অর্থনৈতিক লোকসানের পরিমাণ ৪৮ থেকে ৫২ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। আঘাতের সময় বাতাসের গতিবেগের হিসেবে এটি আটলান্টিকের ইতিহাসের যৌথভাবে দ্বিতীয় শক্তিশালী হারিকেন।
ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ব কিউবাতেও আঘাত হানে, যেখানে ব্যাপক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রায় ৭ লাখ ৩৫ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। এখানে ঘরবাড়ি ও ফসলের বেশ ক্ষতি হলেও প্রাণহানির কোনো খবর নেই।
বারমুডার দিকে অগ্রসর হওয়া মেলিসা বর্তমানে একটি ক্যাটাগরি ২ ঘূর্ণিঝড়। মার্কিন জাতীয় হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, এটি বারমুডার পশ্চিম দিক দিয়ে যাওয়ায় দ্বীপটিতে সরাসরি বড় প্রভাব ফেলার可能性 কম। তবে সতর্কতা হিসেবে কর্তৃপয schooling বন্ধ রাখাসহ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।