
পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের নূরে মদিনা মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রী জান্নাতুলের ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মাদ্রাসা শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ। চার মাসেরও বেশি সময় পলাতক অবস্থায় থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
গোলখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাসুদুর রহমানের বাড়িতে পুলিশের অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশাদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষাপটে জানা যায়, গত ২১ জুন গোলখালী নূরে মদিনা মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রী জান্নাতুলের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রথমে দাবি করে যে, সে সাপের কামড়ে মারা গেছে। কিন্তু জান্নাতুলের বাবা আলী আকবর এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানান, তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে ধর্ষণ ও হত্যার আলামত পাওয়া যায়।
এরপর চলতি বছরের ২৯ জুন আলী আকবর বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ৯(২) ধারায় পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাদ্রাসার পরিচালক মাসুদুর রহমানকে প্রধান আসামি এবং তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে গলাচিপা থানা মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে।
ওসি মো. আশাদুর রহমান বলেন, “আসামি মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” ভুক্তভোগীর বাবা আলী আকবর বলেন, “আমি আমার মেয়ের হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই।”
এই গ্রেফতার মামলার তদন্তে নতুন গতি এনেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং অন্যান্য সম্ভাব্য আসামিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Tags: পটুয়াখালী গ্রেফতার, গলাচিপা মাদ্রাসা হত্যা, মাসুদুর রহমান, শিশু ধর্ষণ মামলা, নারী নির্যাতন, জান্নাতুল হত্যা, বাংলাদেশ অপরাধ, শিক্ষক গ্রেফতার