
নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর নৈশ প্রহরী আবু হানিফ হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত অপুকে র্যাব-৮ এবং সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে গ্রেফতার করে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানাধীন বলিপাড়া এলাকায় র্যাব-৮ এবং সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার রাশেদের নেতৃত্বাধীন আভিযানিক দল আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টায় অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের মহসিন ক্লাবের গলি সংঘটিত অপু (২৫), পিতা: হিরা,কে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত অপু হত্যা মামলার এজাহারনামী প্রধান বিবাদীদের একজন। মামলাটি রুজুরের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার সম্পন্ন হয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষাপটে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদরের খানপুর এলাকায় ২০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ বেলা ১২টায় একটি ১০ বছরের শিশু সানজিদা (পিতা: বাহার, মাতা: আকলিমা বেগম, ঠিকানা: টনকি, মুরাদনগর, কুমিল্লা; বর্তমান: ডন চেম্বার মোবারক ভিলা, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল মসজিদ) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নৈশ প্রহরী আবু হানিফ (৩০), পিতা: আবুল কালাম, মাতা: পারুল বেগম, স্থায়ী ঠিকানা: খোন্তাকাটা, শরণখোলা, বাগেরহাট; বর্তমান: খানপুর, জিতু ভিলা, নারায়ণগঞ্থাকে তার বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। অভিযোগকারীদের মধ্যে অভি, অপু, রাহাতসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালের বিপরীত সুন্দরবন মাঠে তাকে নিয়ে মারধর করে।
আনুমানিক ১২:৩০ মিনিটে তাকে জোড়া ট্যাঙ্কির মাঠে নিয়ে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল জনতার দ্বারা আরও মারধর করা হয়। সর্বশেষ দুপুর ১:৩০টায় থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অটোতে করে খানপুর মেট্রো হলের পশ্চিম পাশের বাউন্ডারি করা খালি জায়গায় নিয়ে অপুসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন ইট, পাথর, কিল, ঘুষি ও লাথি দিয়ে মারধর করে আবু হানিফের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত করে। তার অবস্থা গুরুতর হলে স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে বেলা ৩টায় খানপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টায় তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে থানা পুলিশ হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করে। ভিকটিমের ভাই মোহাম্মদ হযরত আলী মামলার বাদী।
ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এর ফলে লিঞ্চিং সংস্কৃতি এবং আইনের হাত থেকে বিচ্যুতি নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা উঠেছে। র্যাবের এই গ্রেফতার মামলার তদন্তে নতুন মোড় এনেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।