মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নেতৃত্ব নিয়ে প্রকাশ্যে মুখোমুখি হয়েছেন সংস্থার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শন ডাফি ও স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক। চাঁদে অবতরণের নতুন চুক্তি স্পেসএক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর জন্য উন্মুক্ত করার ঘোষণার পর থেকেই তাদের মধ্যে অনলাইন বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে।
সোমবার রাতে ফক্স নিউজের এক সাক্ষাৎকারে নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক ও মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি বলেন, স্পেসএক্সের স্টারশিপ প্রকল্প নাসার আর্টেমিস মিশন—যার লক্ষ্য মানুষকে পুনরায় চাঁদে পাঠানো—এর নির্ধারিত সময়সূচির পিছিয়ে রয়েছে। সেই কারণে সংস্থাটি এখন নতুন করে অন্য কোম্পানিগুলোকেও ওই চাঁদে অবতরণের চুক্তিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেবে।
এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ইলন মাস্ক ডাফিকে কটাক্ষ করে লেখেন, “যিনি আমেরিকার মহাকাশ কর্মসূচির দায়িত্বে, তার আইকিউ দুই অঙ্কেরও কম।”
এই বাকযুদ্ধ প্রকাশ্যে আসে এক্স-এ (পূর্বনাম টুইটার) যখন ডাফির নাসাকে পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার প্রস্তাব নিয়ে একটি সংবাদে মাস্ক প্রতিক্রিয়া জানান। ডাফি বর্তমানে পরিবহন মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
নাসার এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, ডাফির লক্ষ্য হলো “চীনকে পেছনে ফেলে প্রথমে চাঁদে পৌঁছানো।” তিনি আরও বলেন, “শন বলেছেন নাসাকে মন্ত্রিসভার আওতায় আনা যুক্তিযুক্ত হতে পারে, তবে তিনি কখনো বলেননি যে নিজেই পদে থাকতে চান।”
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলেছিল, নাসাকে পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একীভূত করা হলে ডাফির পদ আরও স্থায়ী হতে পারে—এ দাবি ডাফির দপ্তর অস্বীকার করেছে।
অন্যদিকে, মাস্কের পোস্টের জবাবে ডাফি এক্স-এ লেখেন, “উৎসাহটা ভালো লাগছে। চাঁদে পৌঁছানোর দৌড় শুরু হয়ে গেছে।” আরও যোগ করেন, “মহান কোম্পানিগুলো কখনো চ্যালেঞ্জকে ভয় পায় না।”
স্পেসএক্স ও মাস্ক এই বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
নাসা ও স্পেসএক্সের মধ্যে দীর্ঘদিনের আর্থিক অংশীদারিত্ব রয়েছে। ২০২১ সালে সংস্থাটি আর্টেমিস মিশনের মানববাহী চাঁদে অবতরণের জন্য প্রধান ঠিকাদার হিসেবে স্পেসএক্সকে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু প্রকল্প বিলম্বিত হওয়ায় এখন সেই নেতৃত্বকে পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।