ভোলার দৌলতখানে জমি যবর দখল করার উদ্দেশ্যে ঘর ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।অন্যদিকে ভূক্তভোগীদের নামে গত ১৬-১০-২৫ ইং তারিখে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে তারা।মামলা নং-০৯/২৫। অন্যদিকে ভূক্তভোগী আবদুল্লাহ তার ঘর ভাঙ্গার ক্ষয় ক্ষতি ও জমি রক্ষার অভিযোগ তুলে দৌলতখান থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ সে মামলাটি নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।
ভূক্তভোগীদের ভিডিও বক্তব্যের অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, দৌলতখান উপজেলার উত্তর জনয়নগর ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডের কাজীর রাস্তার পাশে জৈনিক কামরুজ্জামানের কাছ থেকে সঠিক কাগজ পত্রের ভিত্তিতে ১৬ শাতাংশ জমি ক্রয় করে, মোঃ আবদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি। এরপর আবদুল্লাহ সে জমিতে বসবাস করার জন্য একটি টিনের ঘর নির্মান করে। কিন্তু এ জমি ও ঘরের উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে স্থানীয় ভূমিদস্যু চক্রের মূল হোতা পশ্চিম জয়নগর ১নং ওয়ার্ডের মোঃ আলী আকবরের ছেলে এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলের আলোচিত চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যু হানিফ মেম্বারের। এর পর হানিফ মেম্বার আবদুল্লাহকে এ জমি হতে সমুলে উৎখাত করার জন্য আবদুল্লাহ সহ তার সন্তানদের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলায় পুলিশের ভয়ে এলাকা ছাড়া হয় আবদুল্লাহ ও তার ছেলেরা। এ সুযোগে ভূমি খেকো হানিফ মেম্বারের নির্দেশে তার ছেলে আক্তারের নেতৃত্বে ২০/২৫ জানের একটি সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আবদুল্লাহর নির্মিত টিনের ঘরটি ভঙ্গে চুরমার করে দেয়। এবং উল্লেখিত জমিটি অন্যায় ভাবে যবর দখল করে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তারা।বর্তমানে আবদুল্লাহ ও তার ছেলেরা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে পালিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। এ ব্যপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ ভূক্তভোগী আবদুল্লাহ ও তার পরিবার। এলাকা ঘুরে আরো জানাগেছে, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে হানিফ মেম্বারের অন্যান্য অবৈধ বাণিজ্যের মধ্যে অন্যতম বাণিজ্য ছিলো পল্লী বিদ্যুতের খাম্বা বাণিজ্য।বাংলাবাজার পল্লী বিদ্যুতের কিছু অসাধু কমকর্তাদের সুবিধা দিয়ে সে বীরদর্পে চালিয়ে যেতো এ খাম্বা বাণিজ্য। তৎকালিন সে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের প্রভাব খাটিয়ে বাংলাবাজার থেকে শুরু করে দক্ষিণদিকের বিভিন্ন জমিতে পল্লী বিদ্যুতের খাম্বা সংরক্ষণ করতো। এর বিনিময়ে সে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে পেতো মোটা অংকের টাকা। এরই ধারাবাহিকতায় হানিফ মোম্বার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ৪ নং ওয়ার্ডের কাজীর রাস্তার পাশে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য কামরুজ্জামানের ক্রয়কৃত ১৬ শতাংশ জমিতে জোড়পূবক পল্লী বিদ্যুতের খাম্বা সংরক্ষণ করে।এর প্রতিবাদে জমির মালিক কামরুজ্জামান বাংলাবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রকার সুফল মেলেনি তার ভাগ্যে। কারণ ওই সময় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু ও চিহ্নিত চাদাবাজা হানিফ মেম্বার ওই এলাকায় একক রাম রাজত্ব চালাতো। তার কাছে জিম্মি ছিলো ওই এলাকার অফিস-আদালত ও সাধারণ জনগণ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে।