হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে অস্ত্র সহায়তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাননি; বরং আগামি সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ট্রাম্প বলেন, “যুদ্ধ এখনই থামুক—এমনকি কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিলেও।”
জেলেনস্কি ওয়াশিংটনে এসেছিলেন দীর্ঘ পাল্লার টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ অতিরিক্ত সামরিক সহায়তার প্রত্যাশা নিয়ে; কিন্তু দুই ঘণ্টার আলোচনার পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বললেন, “সামনের সপ্তাহে পুতিনের সঙ্গে হাঙ্গেরিতে আমার বৈঠক হবে। আমি দুই পক্ষকেই বলেছি—যুদ্ধের রেখায় এখনই অস্ত্র নামান, পরিবারের কাছে ফিরে যান।”
ট্রাম্পের এই মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা ইউক্রেন ও ইউরোপের কিছু মিত্রকে আগেই উদ্বিগ্ন করেছে। ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে। ট্রাম্প অবশ্য বলেন, “জেলেনস্কি চান যুদ্ধ শেষ হোক, পুতিনও চান। এখন শুধু একটু সমন্বয়ের প্রয়োজন।”
জেলেনস্কি সরাসরি জানান, “আমরা যুদ্ধ বন্ধ চাই, কিন্তু পুতিন চান না।” তিনি ট্রাম্পকে বলেন, ইউক্রেনের হাতে হাজার ড্রোন থাকলেও দীর্ঘ পাল্লার টমাহক প্রয়োজন। ট্রাম্প জবাবে বলেন, “আমরা চাই তারা টমাহকের প্রয়োজনই না পাক।”
গতকালের বৈঠকে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে জানান, পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে এবং শিগগিরই তারা বুদাপেস্টে সাক্ষাৎ করবেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, “প্রেসিডেন্ট চান একটি টেকসই শান্তি চুক্তি, যাতে দুই পক্ষই স্বস্তিতে থাকে।”
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, যেকোনো দ্রুত সমঝোতা হলে পূর্বাঞ্চলের ভূখণ্ড হারাতে হতে পারে। জেলেনস্কি সাংবাদিকদের বলেন, “পুতিন সময় কিনতে চান। আমরা সতর্ক থাকব।”