
দীর্ঘ বিতর্ক ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগের চাপে অবশেষে ‘ডিউক অব যর্ক’ উপাধি ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন ব্রিটেনের প্রিন্স অ্যান্ড্রু। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ৬৫ বছর বয়সী রাজপুত্র জানান, তার বিরুদ্ধে “অব্যাহত অভিযোগ” রাজকীয় পরিবারের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে বলে তিনি উপাধি ও সম্মানবাচ্য খেতাব পরিত্যাগ করছেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দ্বিতীয় পুত্র ও বর্তমান রাজা চার্লসের ছোট ভাই অ্যান্ড্রু ২০১৯ সাল থেকে সরকারী রাজকীয় দায়িত্বে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের দের্ঘদিনি যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টাইনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, পরবর্তীতে ভার্জিনিয়া জিউফ্রের দায়ের করা যৌন নিপীড়ন মামলা (যা ২০২২ সালে আর্থিক সমঝোতায় নিষ্পত্তি হয়) এবং এক চীনা গুপ্তচরের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক—এই তিন কারণে তার সুনাম চূড়ান্তভাবে ক্ষুণ্ণ হয়। অ্যান্ড্রু সব অভিযোগ “অকাট্য”ভাবে অস্বীকার করে এসেছেন।
প্রাসাদ সূত্রে জানা গেছে, উপাধি ত্যাগের সিদ্ধান্তটি রাজা চার্লসের সঙ্গে আলোচনার পরই নেওয়া হয়েছে; রাজা ফলাফলে সন্তুষ্ট। অ্যান্ড্রু ১৯৮০-এর দশকে ফকল্যান্ড যুদ্ধে নৌবাহিনীর অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন; একসময় তাকে ‘চার্মিং নৌকা’ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূতের পদ হারান, ২০১৯ সালে সব রাজকীয় কর্মকাণ্ড থেকে সরে দাঁড়ান এবং ২০২২ সালে সামরিক পদবি ও রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা থেকেও বাদ পড়েন।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত জিউফ্রের স্মৃতিকথায় আবারও অ্যান্ড্রুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়। গার্ডিয়ান পত্রিকায় উদ্ধৃত অংশে জিউফ্রে লিখেছেন, “অ্যান্ড্রু মনে করতেন জন্মসূত্রে তার অধিকার রয়েছে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যেতে।”
অ্যান্ড্রু শুক্রবারের বিবৃতিতে পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, “আমার পরিবার ও দেশের প্রতি কর্তব্যকে সর্বাগ্রে রেখেছি। পাঁচ বছর আগে জনজীবন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত আজও বহাল রাখছি।”