পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেলে জোর করে প্রবেশ করে পর্যটকদের ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে মো. হালিম নামে এক ব্যক্তিকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত চারটার দিকে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত মো. হালিম বরগুনার ফুলবুনিয়া এলাকার মৃত কামাল মূর্ধার ছেলে। তিনি কুয়াকাটার হোটেল কেয়ার নামক একটি টিনশেডের চার কক্ষের হোটেল ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করতেন।
জানা যায়, অভিযুক্ত হালিম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুটি কাপল রুমকে লক্ষ্য করে কৌশলে রুমে প্রবেশ করেন। সেখানে নারী-পুরুষ পর্যটকদের ভিডিও ধারণ করেন এবং বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে পুলিশের ভয় দেখান।
হোটেলের মালিক মো. শাকিল জানান, “আমাদের হোটেলে রাতে দুটি রুম ভাড়া দিয়ে আমি রেস্টে চলে যাই। গভীর রাতে হোটেলের স্টাফদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই রুমে পর্যটকদের ডেকে কৌশলে রুমে প্রবেশ করে ভিডিও ধারণ করে। সকালে আমি জানতে পেরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করি।”
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, “একটি হোটেলের রুমে প্রবেশ করে পর্যটকদের জোর করে ছবি তোলার অভিযোগ আসলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত হালিমের মোবাইল চেক করে ওই ভিডিও পাওয়া যায়। পরে আমরা তাঁকে আইনের আওতায় নিয়ে আসি। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা সার্বক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি এবং এই ধরনের অপরাধীদের জন্য এটা একটি বার্তা যাতে এমন দুঃসাহস আর কেউ না দেখায়।”
কুয়াকাটা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র, যেখানে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক আসেন। এ ধরনের ঘটনা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে, যদিও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছে।