1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বরিশাল–পটুয়াখালী ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইনের ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ পরিবার পেল ক্ষতিপূরণের চেক জার্মান অর্থনীতি ২০২৬ সালে মৃদু বৃদ্ধির সম্মুখীন, বিশ্ব বাণিজ্য স্থবিরতার কারণে: আইডব্লিউ ইনস্টিটিউট সিরিয়ার অর্থনীতি বৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত, শরণার্থীরা ফিরে আসছে: কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান AMD প্রধান বললেন, চীনে AI চিপ পরিবহনে ১৫% কর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত কোম্পানি ভারতীয় ONGC রক্ষার পথে রাখছে রাশিয়ার সাখালিন-১ প্রকল্পে ২০% অংশীদারিত্ব লেবানন প্রেসিডেন্ট: সিজফায়ার আলোচনার মূল লক্ষ্য ইসরায়েলি আক্রমণ বন্ধ করা পূর্ব এশিয়ায় চীনের সর্ববৃহৎ সামরিক মোতায়েনে তাইওয়ান ও জাপানের উদ্বেগ  ভোলায় কাজী ফার্মসের কন্ট্রাক্ট ফার্মিং বন্ধের দাবিতে ১০ হাজার প্রান্তিক খামারির ৭ দিনের আল্টিমেটাম জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে সারাদেশে প্রথম হল পটুয়াখালী, ধারাবাহিক সাফল্যে বিভাগেও অগ্রণী পটুয়াখালীতে আন্তঃজেলা ছিনতাইচক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার, চারটি অটোগাড়ি উদ্ধার

দশমিনায় জেলেদের চাল বিক্রির অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

ঢাকা বুলেটিন ডিজিটাল ডেস্ক
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

 

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় সরকারি জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত হলেন রনগোপালদী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোশারেফ হোসেন। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, তিনি জেলেদের প্রাপ্য চালের একটি অংশ বিক্রি করেছেন এবং বাকি চালের কিছু অংশ আত্মসাৎ করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় সরকার ঘোষিত কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। রনগোপালদী ইউনিয়নের ২,২৭০ জন জেলের জন্য চাল বিতরণের দায়িত্ব ছিল প্যানেল চেয়ারম্যান মো. অলিউল ইসলাম রুবেলের তত্ত্বাবধানে।

রবিবার সকাল ১০টার দিকে ওয়ার্ডভিত্তিকভাবে ইউপি সদস্যদের মধ্যে চাল বণ্টন করা হয়। এর মধ্যে মোশারেফ হোসেনের কাছে ৩১০ জন জেলের জন্য মোট ১৫৫ বস্তা চাল হস্তান্তর করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, তিনি এর মধ্যে ১৪ বস্তা (২৮ জনের চাল) আত্মসাৎ করেন এবং আরও ৯ বস্তা (১৮ জনের চাল) “কেরিং খরচের” অজুহাতে বিক্রি করেন। স্থানীয়দের হাতে বিষয়টি ধরা পড়লে তিনি সাংবাদিক ও এলাকাবাসীকে টাকা ও সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রিকশাচালক জালাল বলেন, “মোশারেফ মেম্বার আর বারেক ফকির আমাকে ৬ বস্তা চাল দেন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে। ডালি বাড়িতে তিন বস্তা দিতে বলেন, বাকিটা ফকির বাড়িতে রাখতে বলেন।”
আরেক স্থানীয় বারেক মিয়া জানান, “অনেকে চাল নিতে আসে না, তাই মেম্বার সাহেব কিছু চাল আমার বাড়িতে রাখতে বলেন।”

অভিযোগের বিষয়ে মোশারেফ হোসেন বলেন, “চাল বিতরণের সময় প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কেরিং খরচ কেউ দেয় না, তাই ৬ বস্তা চাল বিক্রি করেছি। পিআইও আর চেয়ারম্যানও ভাগ পায়।”

তবে প্যানেল চেয়ারম্যান অলিউল ইসলাম রুবেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ইউপি সদস্যদের চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কেরিং খরচ বাবদ টাকা প্রদান করা হয়েছে। কেউ চাল বিক্রি করে থাকলে ইউএনও মহোদয়কে জানানো হবে।”

সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসার মুশফিকুর রহমান বলেন, “ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানি না। সত্যতা মিললে ইউএনওকে জানাব।”
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মিঠুন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, “কেরিং খরচের টাকা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছে, পিআইও অফিসের নয়। ইউপি সদস্যের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসান বলেন, “জেলেদের চাল বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি। কেউ সরকারি চাল আত্মসাৎ করলে বা অনিয়ম করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট