পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে মুজিব বর্ষের ঘরের ভাড়াটিয়া কাশেম হাওলাদারকে মারধর করে তার পরিবারসহ ঘর থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর ওয়াডেল এলাকার বাসিন্দা কাশেম হাওলাদার ওই মুজিব বর্ষের ঘরটি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ঘরটি মূলত জাকির মৃধার নামে বরাদ্দ হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি আর্থিক সংকটে পড়ে ঘরটি কবির চৌকিদারের কাছে বিক্রি করেন। কবিরের কাছ থেকে কাশেম হাওলাদার ঘরটি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
পরে জাকির মৃধা বিক্রিত ঘরের টাকা ফেরত দিয়ে পুনরায় ঘরটির দখল নেন। এরপর তিনি কাশেম হাওলাদারকে ঘর খালি করার নির্দেশ দেন। কাশেম ঘর ছেড়ে না যাওয়ায় রোববার বিকেলে বাবুল খার দোকানের সামনে কাশেমকে ডেকে নিয়ে মনির হাওলাদার, বাবুল খা, মজু খা ও জাকির মৃধা মিলে তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে তার পরিবারকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা মেরে দেয় তারা।
কাশেম হাওলাদার বলেন, “আমার পরিবার নিয়ে ঘরে থাকছিলাম। হঠাৎ কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই আমাকে ডেকে নিয়ে মারধর করে এবং ঘর থেকে নামিয়ে দেয়। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। বিচার চাই।”
অভিযুক্ত বাবুল খা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “চুক্তি অনুযায়ী জাকির মৃধা কবির চৌকিদারের টাকা পরিশোধ করেছে। এরপর কাশেম হাওলাদারকে ঘর খালি করতে বলা হলেও সে নামেনি। দোকানের সামনে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে, তবে মারধর করা হয়নি।”
অভিযুক্ত মনির হাওলাদারও বলেন, “জাকির মৃধা একজন অসহায় মানুষ। টাকা ফেরত দিয়ে ঘরটি পুনরায় নিয়েছে। কাশেম হাওলাদার তিন মাস ধরে ঘর খালি করছে না।”
এ বিষয়ে বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ খলিফা বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামান সরকার জানান, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”