র্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে পটুয়াখালীর আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মোঃ নিয়াজ মোর্শেদ (২৬) বরিশাল থেকে গ্রেফতার হয়েছেন। গত ৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানাধীন “ইউসুফের দোকান বেল্লাল টি এন্ড ফ্রেশি জুস” এর সামনে থেকে তাকে গ্রে*ফতার করে র্যাব-৮, সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্প ও সদর ব্যাটালিয়নের একটি যৌথ আভিযানিক দল।
গ্রেফতারকৃত নিয়াজ মোর্শেদের বিরুদ্ধে মির্জাগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজি, মারধর এবং চুরির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী আবুল বাশার @ আবু বেপারীর পরিবারকে লক্ষ্য করে এই চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে নিয়াজ মোর্শেদসহ এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিরা ব্যবসায়ী আবু বেপারীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল আবিদের কাছে এলাকায় ‘উন্নয়নমূলক কাজের’ কথা বলে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আবিদ তখন তাদের কাছে কোনো টাকা নেই জানালে, আসামিরা পরবর্তীতে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে টাকা নেওয়ার জন্য সময় নির্ধারণ করে।
নির্ধারিত দিনে, আসামিরা সুবিদখালীতে বাদীর ভাইয়ের ৪ তলা ভবনের ৪র্থ তলায় প্রবেশ করে এবং আবারও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায়, আসামিরা চাকু দেখিয়ে আবিদ ও তার বোন সাফাকে ভয়ভীতি দেখায়। জীবন ভয়ে আবিদ তার ভার্সিটির সেশন ফি বাবদ ঘরে থাকা ১ লক্ষ টাকা চাঁদা হিসেবে আসামীদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন। এরপরেও আসামিরা বাকি ৯ লক্ষ টাকা দাবি করে আবিদ ও তার বোনকে মারপিট করে এবং ভয় দেখিয়ে সোকেজের ড্রয়ারের লক ভে*ঙে নিয়ে যায় ৬ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, যার আনুমানিক মূল্য ৬০ হাজার টাকা। এই ঘটনায় পরবর্তীতে বাদী মোসাঃ আহানারা বেগম থানায় মামলা দায়ের করেন।
র্যাবের এই সফল অভিযানের মাধ্যমে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দুর্ধর্ষ মাস্তান, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত নিয়াজ মোর্শেদকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হলো। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিএমপি, বরিশাল, কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই গ্রে*ফতার স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে স্বস্তি এনেছে এবং আইনশৃঙ্খলার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও জোরদার করবে বলে আশা করা যায়।