মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক থেকে ডাকাত দলের ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতি হওয়া একটি তরমুজবাহী পিকআপও উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে রাজৈর থানায় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) সালাহ উদ্দিন কাদের।
পুলিশ জানায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খুলনার তেরখাদা থেকে মাদারীপুরের মস্তফাপুর ফলের আড়তে যাচ্ছিল একটি তরমুজবাহী পিকআপ। পথে রাজৈরের আমগ্রাম ব্রিজ এলাকায় গঙ্গাবর্দী স্থানে ডাকাতরা চালক ও হেলপারকে মারধর করে গাড়িটি ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় রাতেই রাজৈর থানায় ডাকাতির মামলা হয়।
পরে পরদিন (২৪ সেপ্টেম্বর) দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যে ফরিদপুর, কেরানীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নগরকান্দা ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধাপে ধাপে মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে ডাকাতি হওয়া পিকআপটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— ফরিদপুরের শাহ আলম শেখ (৪০), কবির চোকদার (৪৫), জাকির খাঁ (৫০), ইকরাম আলী মুন্সী (৩৫), হৃদয় বয়াতি (২৩), সুমন হোসেন মাতুব্বর (২৬), ঢাকার আল আমিন (৪৫), হাবিব (২৫), ইকবাল হোসেন (৩৬), মাদারীপুরের সুজন মাতুব্বর (২৭), কিশোরগঞ্জের সোহাগ ওরফে নোবেল (২৬), ডালিম সরকার (৩০) ও স্বপন (২৫)।
সহকারী পুলিশ সুপার সালাহ উদ্দিন কাদের বলেন, “আমরা ধাপে ধাপে অভিযান চালিয়ে মোট ১৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পিকআপও উদ্ধার করা হয়েছে। তারা মূলত মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়ি টার্গেট করে ডাকাতি চালাতো।”
এদিকে পিকআপের মালিক খুলনার রূপসা উপজেলার ফল ব্যবসায়ী সরদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমার গাড়ি উদ্ধারে পুলিশ যে পরিশ্রম করেছে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ডাকাতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
পুলিশ জানায়, ডাকাতরা গাড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার পর তরমুজগুলো ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে বিক্রি করে দেয়। পরে পিকআপটি গাজীপুরের জয়দেবপুরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।