
এশিয়ার প্রারম্ভিক লেনদেনে মার্কিন ডলার মূল্য হ্রাস পেয়েছে, বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের এবং সরকারি বাজেট সংকটজনিত সম্ভাব্য শাটডাউনের ঝুঁকির দিকে নজর রেখে।
রয়টার্স—সোমবার এশিয়ার সকালের লেনদেনে ইউএস ডলার ইনডেক্স ০.১ শতাংশ কমে ১০০.৭-এ নেমে আসে। একই সময়ে ইউরো প্রতি ডলারের বিনিময় হার সামান্য বেড়ে ১.১১৯০-তে পৌঁছায়, যা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরের কাছাকাছি। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন কংগ্রেস যদি নতুন বাজেট বিল পাস না করে, ফেডারেল সরকারের আংশিক বন্ধ অবস্থা শুরু হতে পারে। এই অনিশ্চয়তা ফেডারেল রিজার্ভের আগামী বৈঠকে সুদের হার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ পরপর প্রকাশিতব্য তথ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত খাত ঋণ প্রবৃদ্ধি, কনজিউমার কনফিডেন্স ইনডেক্স এবং শুক্রবারের নন-ফার্ম পেরোল রিপোর্ট। সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক ওভারসিজ-চাইনিজ ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (OCBC) বৈদেশিক মুদ্রা বিশ্লেষক ক্রিস্টোফার ওং মন্তব্য করেন, “আর্থিক শাটডাউনের সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে উদ্বুদ্ধ করছে; ফলে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে ইয়েন ও সুইস ফ্রাঁকের চাহিদা বেড়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “তথ্য প্রকাশের পর যদি শ্রম বাজারের চিত্র দুর্বল হয়, ফেডারেল রিজার্ভ আগামী নভেম্বরে আবারও ৫০ বেসিস পয়েন্ট হার কমাতে পারে।”
এদিকে, জাপানি ইয়েন প্রতি ডলার ১৪২.৮৫-এ নেমে গত সপ্তাহের তুলনায় ০.৩ শতাংশ শক্তিশালী হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ডলার ০.৬৯০০ মার্কিন ডলারে স্থিতিশীল থাকলেও নিউজিল্যান্ড ডলার ০.১ শতাংশ বেড়ে ০.৬৩০০-তে উঠে আসে। বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সরকারি শাটডাউন দীর্ঘায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ প্রান্তিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলা ও পণ্য মূল্যে প্রভাব ফেলবে।