পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভুরিয়া ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের অটোরিকশা চালক রেজাউল বয়াতি হত্যার বিচার ও আসামির ফাঁসির দাবিতে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। বুধবার বিকেলে কাশিপুর স্লুইসগেট এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মানববন্ধনের আগে স্লুইসগেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কাশিপুর বাজার প্রদক্ষিণ করে। নিহত রেজাউলের পরিবার—বাবা নুরুল হক বয়াতি, মা সালেহা বেগম, স্ত্রী শিরিন আক্তার, দুই শিশু সন্তান আয়শা ও সিফাত, বড় ভাই ও মামলার বাদী খোকন বয়াতি, বড় ভাবী খাদিজা বেগম, ছোট ভাই রুবেল বয়াতি, মামা রিয়াজ ও নানা চান্দু ফকিরসহ এলাকাবাসী এতে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভুরিয়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ জাহিদুল ইসলাম, হেলাল বয়াতি, মনির ব্যাপারীসহ স্থানীয়রা। বক্তারা হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দ্রুত বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর ব্যাটারি ও পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে একই গ্রামের ফায়জুল অটোরিকশা চালক রেজাউলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই দিন রাত সোয়া ২টার দিকে পুলিশ শৌলা এলাকায় রেজাউলের অটোরিকশা পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে ফায়জুলকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
৩ সেপ্টেম্বর সকালে লোহালিয়া নদীর জৈনকাঠী সংলগ্ন এলাকা থেকে রেজাউলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ফায়জুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শৌলা গ্রামের আকনবাড়ি জামে মসজিদ থেকে রক্তমাখা ছুরি এবং অটোরিকশার ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, “এজাহারভুক্ত একমাত্র আসামি ফায়জুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।”