যুক্তরাজ্য সরকার বিশ্বের শীর্ষ প্রতিভাবান গবেষক, প্রযুক্তিবিদ ও শিল্পীদের আকৃষ্ট করতে ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট’ ও ‘হাই পোটেনশিয়াল ইন্ডিভিজুয়াল’ ভিসার ফি সম্পূর্ণ বাতিলের পরিকল্পনা করছে—খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের। প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া অভিবাসন নীতির বিপরীতে লন্ডন উচ্চ দক্ষতার মানবসম্পদে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমারের প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভিসা ফি মওকুফ পাবেন—
– বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য স্নাতক,
– নোবেল, টারিং বা ফিল্ডস পদকজয়ী,
– এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, চলচ্চিত্র ও ফ্যাশনে আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা।
বর্তমানে ‘গ্লোবাল ট্যালেন্ট’ ভিসার আবেদন ফি ৭১৫ পাউন্ড; এর সঙ্গে এন্ডোর্সমেন্ট ও স্বাস্থ্য সারচার্জ মিলিয়ে মোট খরচ প্রায় ১,৫০০ পাউন্ড ছাড়ায়। নতুন প্রস্তাবে এই পুরো অঙ্কই বাতিল হবে।
গত মে মাসে প্রকাশিত ‘রেস্টোরিং কন্ট্রোল অব ইমিগ্রেশন’ শ্বেতপত্রে উচ্চ দক্ষতার প্রতিভা টানতে ‘এন্ডোর্সমেন্ট প্রক্রিয়া সহজীকরণ’ এবং ‘ইউকে-তে প্রবেশের পর কর্মসংস্থানের নিয়ম শিথিল’ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। হোম অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছে, ফি বাতিলের বিষয়টি ওই রোডম্যাপের অংশ।
টেক-স্টার্ট-আপ হাব ‘টেক ন্যাশন’-এর নীতি-প্রধান জেমস প্যাডেল বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে H-1B লটারি জটিলতা বাড়ছে; এ সময় ফি-মুক্ত ভিসা ইউকে-কে আকর্ষণীয় গন্তব্য করে তুলবে।”
– বিশ্ববিদ্যালয় মণ্ডলের সিইও ভিভিয়ান স্টার্ন জানান, “গবেষণা-উদ্যোগে বিদেশি পিএইচডি উত্সাহ পাবেন; ইউকে-র ইনোভেশন ইকোসিস্টেম উপকৃত হবে।”
তবে অভিবাসন-সংস্কারবিরোধী দল ‘মাইগ্রেশন ওয়াচ’ সতর্ক করে বলেছে, ‘‘ফি বাতিল মানে জনগণের পকেট থেকে ভর্তুকি—এতে নিম্ন-দক্ষ খাতে শূন্যস্থান আরও বাড়বে।’’
প্রস্তাবটি এখনও ‘কনসালটেশন’ পর্যায়ে; হোম অফিস আশা করছে ২০২৬ সালের বসন্ত থেকে পাইলট স্কিম চালু করা যাবে।