ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গর্ভাবস্থায় টাইলেনল গ্রহণ ও শিশুর নিউরোডেভেলপমেন্টাল সমস্যার মধ্যে ‘সম্ভাব্য সংযোগ’ তুলে ধরতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গাইনি-বিশেষজ্ঞদের শীর্ষ সংগঠন এসিওজি ও সোসাইটি ফর ম্যাটার্নাল-ফেটাল মেডিসিন তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমান প্রমাভিত তথ্যে অ্যাসিটামিনোফেনের সরাসরি কার্যকারিতা মেলেনি; গর্ভবতীদের জন্য এটি এখনও ‘নিরাপদ ও উপকারী’ বিকল্প
বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, ৪৬টি গবেষণার মেটা-বিশ্লেষণে দেখা গেছে—উচ্চ মানের পরীক্ষাগুলোতে গর্ভে অ্যাসিটামিনোফেনের সংস্পর্শ ও অটিজম/এডিএইচডির সামান্য ঝুঁকির সম্পর্ক থাকতে পারে। তবে একই গবেষণা স্বীকার করে, জ্বর বা ব্যথা না কমানোর চেয়ে ওষুধটি নিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার করা বেশি নিরাপদ
অন্যদিকে সুইডেনের ২৪ লাখ শিশুর তথ্য নিয়ে জামা-প্রকাশিত গবেষণা বলছে, ভাই-বোন-নিয়ন্ত্রিত নমুনায় অ্যাসিটামিনোফেন ও অটিজমের মধ্যে কার্যকর কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি; আগের ‘সংশ্লিষ্টতা’ অন্যান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে হতে পারে
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যদি সরকারি প্রতিবেদনে ‘সম্ভাব্য ঝুঁকি’-কে ‘কারণ’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তাহলে গর্ভবতীরা জ্বর ও ব্যথা না কমিয়ে ভুগতে পারেন—যা গর্ভপাত, সময় আগে প্রসব বা জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি বাড়ায়
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেনেডি—যিনি অটিজমকে ‘পরিবেশগাট টক্সিনে সৃষ্ট মহামারী’ বলে আসছেন—প্রতিবেদন প্রকাশের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ওষুধ-লেবেলে সতর্কবাণী ও গর্ভাবস্থায় বিকল্প ব্যথানাশকের ব্যবহার বাড়ানোর কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। তবে কবে নাগাদ নির্দেশনা চূড়ান্ত হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়