যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ফেড) সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত হজম করে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা; তাদের দৃষ্টি এখন ব্যাংক অব জাপানের (বোজে) আসন্ন নীতি বৈঠকে ঘুরছে—এরই মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পটভূমিতে ডলারের মূল্যমান স্থিতিশীল রয়েছে।
এশিয়ার সকালে (ইউটিসি ০২:১৭) ডলার ইনডেক্স ১০১.৭-এর কাছাকাছি অপরিবর্তিত ছিল, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ০.৩ শতাংশ বেশি। ফেড চেয়ার জেরোম পাওয়েল ‘ধীর ও পরিমিত’ হার কমানোর বার্তা দেওয়ার পর বাজার ধারণা, বছর শেষ নাগাদ আরও ৫০ বেসিস পয়েন্ট ছাড় হতে পারে; তবে তা নির্ভর করবে মূল্যস্ফীতির গতির ওপর। টোকিওর এক মুদ্রা ব্যবস্থাপক বলেন, “ডলারের আপসাইড সীমিত, কারণ বিনিয়োগকারীরা বোজে-র শুক্রবারের সিদ্ধান্তের আগে বড় অবস্থান নিতে সতর্ক।” বোজে-র বৈঠকে নীতিহার ০.২৫ শতাংশ বাড়ার ৪০ শতাংশ বাজার সম্ভাবনা দেখছে; যদি তা ঘটে, ইউয়েন ১৪০-এর নিচে ডলারের বিরুদ্ধে শক্ত হতে পারে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। অন্যদিকে, ইউরো ১.১০৪-তে স্থির থাকলেও জার্মান উৎপাদন জরিপ দুর্বল আসায় উত্থান সীমিত; পাউন্ড ১.৩১-এর কাছাকাছি রয়েছে, যেখানে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সোনা ২৫৫৫ ডলারে, তেল ৭৩ ডলার প্রতি ব্যারেলে স্থির থাকায় ডলারের চাপ কমেছে। মুম্বাইভিত্তিক এক ব্রোকারেজ হাউস জানায়, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রান্তিক জিডিপি (প্রাথমিক সংশোধন) ও পিসি ইনডেক্স প্রকাশের আগে ডলার ১০১.২-১০২.২ সীমার মধ্যে থাকতে পারে।