যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি এক বৃহৎ অভিবাসন অভিযানে শতাধিক দক্ষিণ কোরীয় নাগরিক আটক হওয়ার পর সিউল ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো হিয়ন-ডং সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন, যেখানে তিনি মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আটক ব্যক্তিদের দ্রুত কনস্যুলার প্রবেশাধিকার ও ভবিষ্যতে কর্মী নিয়োগ কর্মসূচির সুস্পষ্ট নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করবেন।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে একযোগে চালানো অভিযানে অন্তত ২০০-এর বেশি কোরীয় নাগরিককে আটক করা হয় বলে দক্ষিণ কোরীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। তাদের অধিকাংশই বৈধ কর্মসংস্থান ভিসার আওতায় এসেছিলেন, কিন্তু কর্মস্থল পরিবর্তন বা ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে।
সিউলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কনস্যুলার কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত সব আটক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো হিয়ন-ডংয়ের সফরসূচিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, নিরাপত্তা বিভাগ ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে।
দক্ষিণ কোরীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিম সু-সুক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা আটক নাগরিকদের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে চাই এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে যৌথ নীতিমালা প্রণয়নে আগ্রহী।”
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কোরীয় অভিবাসী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা বলছেন, হঠাৎ অভিযানে পরিবার বিচ্ছিন্ন হওয়া ও আইনি জটিলতায় পড়ে অনেকেই মানসিক চাপে রয়েছেন।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কর্মী বিনিময় কর্মসূচি ও অভিবাসন নীতির পুনঃমূল্যায়ণের একটি বড় সুযোগ তৈরি করেছে।