পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অটোরিকশা চালক রেজাউল বয়াতির মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার মূল আসামি ফয়জুল গাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যিনি শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশের পেট চাকু দিয়ে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর লোহালিয়া নদীর তীরে ভাসমান অবস্থায় রেজাউল বয়াতির (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন থানায় ৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪ ধারায় হত্যা ও ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভুরিয়া ইউনিয়নের ফয়জুল গাজী (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ফয়জুল গাজী স্বীকার করেন যে, তিনি রেজাউল বয়াতিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে তার পেট চাকু দিয়ে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ শৌলা এলাকার জামে মসজিদের কার্নিশ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা চাকু এবং রাস্তার পাশের পানি থেকে চোরাই যাওয়া অটোরিকশার ব্যাটারি উদ্ধার করে। এগুলো তার অপরাধের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হয়।
রেজাউল বয়াতি সদর উপজেলার ভুরিয়া ইউনিয়নের নুরু বয়াতির ছেলে এবং অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তিনি ফিরেননি। সেদিন রাতেই কাশিপুর রোড থেকে তার অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। এর পরদিন বুধবার সকালে নদী থেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটির তদন্ত চলমান রয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।