
মস্কো বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইউক্রেনে বিদেশি সামরিক বাহিনীর যে-কোনো স্থাপন তাদের জন্য ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করার শামিল হবে এবং এর জবাবে দ্রুত ও কঠোর পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভকে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা আবার সক্রিয় হওয়ার পরই রাশিয়ার এই কড়া প্রতিক্রিয়া এলো।
Body: রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেন, “ইউক্রেনের ভূখণ্ডে তৃতীয় কোনো পক্ষের সেনা উপস্থিতি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি সৃষ্টি করবে। এটি মস্কোর ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করবে এবং আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় সামরিক-কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ ধরনের পদক্ষেপ ইউক্রেন সংকটকে “এক নতুন ও আরও বিপজ্জনক পর্যায়ে” নিয়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু সদস্য দেশ সম্প্রতি ইউক্রেনকে দেওয়া নিরাপত্তা সহায়তার পরিধি বাড়ানোর বিষয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা শুরু করে। তাদের যুক্তি, কিয়েভ যাতে ভবিষ্যতে কোনো নতুন আগ্রাসনের মুখে না পড়ে সে জন্য সুস্পষ্ট সামরিক ঠিকাদারি প্রয়োজন। যদিও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, রাশিয়া এই আলোচনাকেই ‘অশনি সংকেত’ হিসেবে দেখছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ক্রেমলিনের এই বক্তব্য আসলে পশ্চিমাদের কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর কৌশল; একই সঙ্গে তা রাশিয়ার ভেতরের শক্ত অবস্থানও প্রদর্শন করছে। কিয়েভের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোলা রাখা।”