পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের সুতাপট্টি এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৬০ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় তিন ব্যবসায়ীকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দকৃত জালগুলো ফেরিঘাট এলাকায় আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
কলাপাড়া, ৩ সেপ্টেম্বর: মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) শেষ বিকালে কলাপাড়া পৌরশহরের সুতাপট্টি এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসীন সাদেক এবং সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহার যৌথ নেতৃত্বে তিনটি গোডাউনে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ১,৩০০ পিস চায়না দুয়ারী জাল, যার মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা, এবং ২ লাখ মিটার কারেন্ট জাল, যার মূল্য ৪০ লাখ টাকা, জব্দ করা হয়। এই জালগুলো দেশীয় মাছের প্রজনন ও বেঁচে থাকার জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয়, কারণ এগুলো কচি মাছ ধরে প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটায়।
অভিযানের পর জব্দকৃত জালগুলো ফেরিঘাট এলাকায় নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত তিন ব্যবসায়ীকে নিষিদ্ধ জাল মজুত ও বিক্রির দায়ে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসীন সাদেক বলেন, “দেশীয় মাছ সংরক্ষণ এবং মৎস্য সম্পদ রক্ষায় নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা এই ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।”
সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, “চায়না দুয়ারী এবং কারেন্ট জাল ব্যবহারের ফলে স্থানীয় মৎস্য প্রজাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই অভিযানের মাধ্যমে আমরা পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জেলে ও ব্যবসায়ীদের এই ধরনের নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার ও বিক্রি থেকে বিরত থাকতে সচেতনতামূলক প্রচারণাও চালানো হবে।
এর আগেও কলাপাড়ায় বিভিন্ন সময়ে অবৈধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ২০১৫ সালে কলাপাড়ার রাবনাবাদ ও আন্ধারমানিক নদে অভিযান চালিয়ে ৮ লাখ টাকা মূল্যের ১৫টি বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়েছিল। এলাকাবাসী এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে।