1. bulletindhaka9@gmail.com : ঢাকা বুলেটিন : ঢাকা বুলেটিন
  2. info@www.dhakabulletin.news : ঢাকা বুলেটিন :
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোলা সদর উপজেলার শিক্ষা উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে পাবলিক হেয়ারিং অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ট্রলার মাঝি হত্যার মামলায় পলাতক প্রধান অভিযুক্ত সোহেল ফকির গ্রেফতার পরীক্ষার হলে ফোন নিয়ে প্রবেশে শিক্ষার্থীকে আটক করায় শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা কুলাউড়ায় ভারতীয় ৩ লাখ টাকার সিগারেট জব্দ কমলগঞ্জে প্রভাবশালীর বাঁধায় চলাচলের রাস্তাটি প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ ভিয়েতনামে Xbox উৎপাদনে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ফক্সকনের রুপি ৯০ ছাড়িয়ে পতন, মার্কিন শুল্ক ও বিনিয়োগ বহিঃপ্রবাহে চাপ ফিউজলেজ প্যানেলে ত্রুটি: ৬২৮টি এয়ারবাস A৩২০ পরিদর্শনের মুখে ১৯ দেশের নাগরিকদের অভিবাসন আবেদন স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন ব্ল্যাকরক দীর্ঘমেয়াদী ট্রেজারিগুলোতে মতামত পরিবর্তন করল, এআই অর্থায়নের ঢেউয়ে ঋণ খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা

 বাউফলে খালে ভাসমান কিশোরীর লাশের রহস্য উদঘাটন: বাবা-মা ও দুলাভাই গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের নায়ায়নপাশা গ্রামে কুম্ভখালী খালে শনিবার (২৩ আগস্ট ২০২৫) ভাসমান অবস্থায় পাওয়া কিশোরী উর্মী আক্তারের (১৪) লাশের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। উর্মীর বাবা নজরুল বয়াতি, মা আমেনা বেগম এবং দুলাভাই কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং বুধবার সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে উর্মী আক্তার নিখোঁজ হওয়ার নাটক সাজায় তার পরিবার। দুই দিন পর, ২৩ আগস্ট সকাল ৮টায় কুম্ভখালী খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতে উর্মীর বাবা নজরুল বয়াতি বাউফল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, পুলিশের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন উর্মীর মা আমেনা বেগম, বাবা নজরুল বয়াতি এবং দুলাভাই কামাল হোসেন (৩২)। ঘটনার ছয় দিন পর, মঙ্গলবার রাতে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা হত্যার সত্যতা স্বীকার করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উর্মীর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি পরিবার জানতে পারলে ২১ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে মা আমেনা বেগম, বাবা নজরুল এবং দুলাভাই কামাল মিলে উর্মীকে ব্যাপক মারধর করেন। একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয় এবং মরদেহ পাশের কুম্ভখালী খালে ফেলে দেওয়া হয়। নিজেদের বাঁচাতে পরিবার এই ঘটনাকে নিখোঁজের নাটক হিসেবে সাজায়।

বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, “ঘটনার পর থেকেই এই তিনজন আমাদের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।” তিনি আরও জানান, আটককৃতদের বুধবার সকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।

এই ঘটনা স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। অভিভাবক ও স্থানীয়রা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনা পরিবারের মধ্যে সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং সন্তানের প্রতি অভিভাবকদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট