রাশিয়ার একটি “বিশেষ যন্ত্রণা” রয়েছে যার মাধ্যমে ভারতে তেলের সরবরাহ অব্যাহত রাখার সক্ষমতা রয়েছে বলে এক রুশ দূতাবাস কর্মকর্তা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই বছর শেষের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনার জন্য নয়া দিল্লিতে সাক্ষাতের আশা প্রকাশ করেছেন।
বুধবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে রাশিয়ার নবনিযুক্ত চার্জ দ’অফেয়ার্স রোমান বাবুশকিন জানান, রাশিয়া ভারতে তেলের আমদানির পরিমাণ বজায় রাখার একটি “খুবই বিশেষ ব্যবস্থা” তৈরি করেছে। এই ব্যবস্থা পশ্চিমা রাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তেলের নিষ্ছিদ্র সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
তবে পুতিন ও মোদি কত তারিখে সাক্ষাৎ করবেন, সে বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা নেই। রাশিয়ার উপ-ব্যবসা প্রতিনিধি এভগেনি গ্রিভা জানান, রাজনৈতিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে তেল বাণিজ্য বর্তমান স্তরেই থাকবে এবং দুই দেশের বাণিজ্য বছরে প্রায় ১০% বৃদ্ধি পাবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ভারতে রাশিয়ান তেল আমদানির কারণে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু চীনের রাশিয়ান তেল ক্রয়ের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভারতীয় একটি রিফাইনারি নায়ারা এনার্জিকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যার ফলে তেল শোধন কার্যক্রম কমে গেছে।
বাবুশকিন বলেন, “ভারত আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমরা সব চ্যালেঞ্জ দূর করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা প্রদেয় ও লেনদেন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার পথে কাজ করছি।” তিনি আরও জানান, ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্য রয়েছে।
ভারতে রাশিয়ান তেলের বিকল্প না থাকায় বর্তমানে ভারতীয় বাজারে এটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং গুরুত্বপূর্ণ। “আমরা নিশ্চিত যে, এই সরবরাহ বন্ধ হলে বিশ্বজুড়ে তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাবে,” বাবুশকিন মন্তব্য করেছেন।