মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির হালকা প্রতিবেদনের পর সেপ্টেম্বর মাসে ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বাড়ায় বুধবার ডলারের অবনতি ঘটে। এ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির চেষ্টা ডলারের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমায়।
জুলাই মাসে মার্কিন ভোক্তা মূল্যস্ফীতি সীমিত পরিসরে বৃদ্ধি পায়, যা বাজারের প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই প্রতিবেদনে ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপক শুল্ক নীতির ভোক্তা মূল্যে সীমিত প্রভাব দেখা যায়। এর প্রতিক্রিয়ায় বাজার সেপ্টেম্বরে ফেডের হার কমানোর সম্ভাবনা ৯৮ শতাংশ হিসাব করছে, যা ডলারের মূল্যকে চাপে ফেলে।
ডলার সূচক (DXY) মঙ্গলবার প্রায় ০.৫ শতাংশ কমে ৯৮.০৮-এ দাঁড়ায়। যেনের বিপরীতে ডলার ০.০৫ শতাংশ কমে ১৪৭.৭৬-এ এবং ইউরোর বিপরীতে ১.১৬৭৬ ডলারে স্থিত হয়।
কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার কারেন্সি কৌশলী ক্যারল কং বলেন, “জুলাইয়ের সিপিআই প্রতিবেদনে শুল্কের প্রভাব সীমিত দেখা গেছে, তবে সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানো এখনও নিশ্চিত নয়। আগামী তথ্যগুলো আসার আগে সিদ্ধান্ত নেয়া অনিশ্চয়তার মধ্যেই থাকবে।”
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বিরুদ্ধে ফেডের ওয়াশিংটন সদর দপ্তরের সংস্কার নিয়ে মামলা করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে বলে সাদা গৃহের মুখপাত্র ক্যারোলিন লিভিট জানান। এ নিয়ে ট্রাম্প পাওয়েলকে বারবার সমালোচনা করেছেন তিনি সুদের হার আগেই কমাননি বলে।
এছাড়া, ট্রাম্প গোল্ডম্যান স্যাকসের সিইও ডেভিড সোলোমনকে আক্রমণ করেন, যারা বলেছিলেন মার্কিন শুল্ক অর্থনীতির ক্ষতি করবে।
অস্ট্রেলিয়ান ডলার ০.০৫ শতাংশ কমে ০.৬৫২৬ ডলারে এবং নিউজিল্যান্ড ডলার ০.০৩ শতাংশ কমে ০.৫৯৫৩ ডলারে দাঁড়ায়। রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া মঙ্গলবার সুদের হার কমায় এবং ভবিষ্যতে আরও হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়।