চীনের দক্ষিণ সীমানা কমান্ড বুধবার জানিয়েছে, Scarborough Shoal-এর বিতর্কিত পানিকে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করায় তারা ইউএস মহাসাগরীয় বিধ্বংসী ‘USS Higgins’কে পর্যবেক্ষণ করে তাড়িয়ে দিয়েছে।
চীনের (Southern Theater Command) থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “USS Higgins” নামক মার্কিন বিধ্বংসী জাহাজটি Scarborough Shoal-এর পানিতে চীনা সরকারের অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করায়, তাদের নজরদারির পর বাধ্য করে সেখান থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । এ ঘটনার পর মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড বা বেইজিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতাবাস— কেউই এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি ।
ঘটনাটি এমন একটি সময়ে ঘটছে যখন Scarborough Shoal দক্ষিণ চীন সাগরে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, তাইওয়ান ও ফিলিপাইনসের মতো দেশগুলোর সঙ্গে চীনের দাবি ও সংঘর্ষের একটি প্রিয় প্রক্ষক্ষ স্থান। চীন এখানকার অধিকাংশ অংশ নিজেদের বলে দাবী করে, যা আন্তর্জাতিক আদালত ২০১৬ সালে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করেছিল, কিন্তু বেইজিং সেই রায় মানেনি ।
এই ঘটনার পরপরই, আগের দিন ১১ আগস্ট, ফিলিপাইন কোস্ট গার্ড ‘BRP Suluan’ নামে একটি পাল্টা জাহাজ Scarborough Shoal-এর কাছাকাছি পৌঁছানোর সময় চীনা নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড ব্যবস্হাপনা কঠিন করে তোলে। ফলশ্রুতিতে, একটি চীনা নৌযান নিজস্ব কোস্টগার্ড জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যা ভিডিওতে ক্যাপচার করা হয়েছে এবং ফিলিপাইনস দাবি করেছে এই ঘটনায় “বিপজ্জনক কৌশল ও অবৈধ হস্তক্ষেপ” স্পষ্ট হয়েছে । এতে চীনা কোস্ট গার্ডের জাহাজ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অসম্ভব অবস্থায় পড়ে যায়, যদিও চীন এই ধাক্কাধাক্কির কথা স্বীকার করেনি
এই ধারাবাহিক ঘটনাপ্রবাহ দেখাচ্ছে, দক্ষিণ চীন সাগরে ভোগ করা আগস্টের শুরু থেকেই উত্তেজনা তীব্র হয়ে উঠেছে। ফিলিপাইনস পূর্বাভাষ দিয়েছে, তারা এ ধরনের হামলাবিরোধী “কৌশলগত মূল্যায়ন” করবে এবং প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য নেবে—তারা অঙ্গীকার করেছে, তাঁরা শুধুমাত্র মৎস্যজীবীদের রক্ষা করতে সেখানে গিয়েছিল এবং তাদের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক নয়, মানবিক ছিল ।
সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণে, চীনের এই কর্মকাণ্ড স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে, তারা নিজেদের সামরিক ও প্রাদেশিক সার্বভৌমত্ব শক্তভাবে বজায় রাখতে মুখ্যমুখি হয়েছে — যা এলাকায় আবারও যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনসের আগ্রাসনের মতো ভেবেচিন্তে পাল্টা পদক্ষেপের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।